আধুনিকীকরণ হবে চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের

চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি, টার্মিনাল সম্প্রসারণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সফররত ভারতীয় সাংবাদিক দল রবিবার ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে আসেন।

কনসালট্যান্ট নিয়োগসহ বিমানবন্দরের সম্প্রসারণে বহুমুখী পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। চট্টগ্রামের হোটেল পেনিনসুলায় তিন দিনব্যাপী পর্যটন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মাহবুব আলী বলেন, চট্টগ্রাম বিমানবন্দর সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রানওয়ের ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি করা হবে। চট্টগ্রামে পর্যটনের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামের পর্যটকরা ইউরোপিয়ান স্টাইলে ছাদখোলা বাসে করে দৃশ্যনীয় বিভিন্ন স্থান ভ্রমণ করতে পারবেন। জার্মানির একটি কোম্পানি থেকে বাসগুলো সংগ্রহ করা হচ্ছে। বাসগুলো দেশে পৌঁছালে চট্টগ্রামে দেওয়া হবে। পাশাপাশি বিদেশি পর্যটক আকর্ষণ করতে কাজ চলছে।

প্রসঙ্গত, শাহ জালালের নামে চট্টগ্রামের বিমানবন্দর। উনি ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের বিখ্যাত সুফি দরবেশ। পুরো নাম শেখ শাহ জালাল কুনিয়াত মুজাররদ। ১৩০৩ খ্রিস্টিয় সালে। ৩২ বছর বয়সে ইসলাম ধর্ম প্রচারের লক্ষ্যে অধুনা সিলেট অঞ্চলে এসেছিলেন বলে ধারণা করা হয়। তাঁর সিলেট আগমনের সময়কাল নিয়ে যদিও বিভিন্ন অভিমত রয়েছে। কিন্তু তাঁর সমাধির খাদিমগণের প্রাপ্ত ফার্সি ভাষার একটি ফলক-লিপি থেকে উল্লেখিত সন-তারিখই সঠিক বলে ধরা হয়। ফার্সি ভাষায় লিখিত ফলক-লিপি বর্তমানে ঢাকা যাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। সিলেটে তাঁর মাধ্যমেই ইসলামের বহুল প্রচার ঘটে। শাহ জালালের সঙ্গী-অনুসারীদের মধ্য হতে অনেক পীর-দরবেশ এবং পরে তাদের বংশধরগণ সিলেট সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে থাকেন। 

শাহ জালালের সফরসঙ্গী ৩৬০ জন  আউলিয়ার সিলেট আগমন ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁকে সিলেটেই কবর দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.