বড়সড় হামলার ছক কষা হয়েছিল! হাওড়া থেকে ধৃত দুই জঙ্গিকে জেরায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য

আইএস এর মতো ভয়ঙ্কর জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে উঠেছিল খিদিরপুর থেকে ধৃত হাওড়ার সদ্দামের। এরপর তার মারফতেই ওই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে ওঠে সাদ্দামের বন্ধু সৈয়দ আহমেদেরও বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। শনিবার দুই ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। জানাগেছে, বড়সড় হামলার ছক কষেছিল তারা। ২৬ জানুয়ারির আগেই হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল। তার জন্য তারা প্রস্তুতিও নিচ্ছিল। দু’জন রাজনৈতিক ধর্মীয় ব্যক্তি তাদের টার্গেট ছিল বলে সূত্রের খবর।

সাদ্দাম ও সৈয়দকে হেফাজতে নিয়ে দফায় দফায় জেরা করছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সুত্রে খবর, সাদ্দামের সঙ্গে আইএসের যোগাযোগ গড়ে উঠেছিল বেশ কিছু দিন আগেই। তদন্তকারীদের মতে বছর দুয়েক আগে থেকে আইএস নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় সাদ্দামের। তাদের সঙ্গে সমাজ মাধ্যম মারফত সাদ্দাম যোগাযোগ রাখতেন বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। জানা যাচ্ছে, সাদ্দামের পরিকল্পনা ছিল বিদেশে যাওয়ার।

পাশাপাশি তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গেছে, সাদ্দাম ও সৈয়দ বড়সড় হামলার ছক কষেছিল। সেই জন্য তারা অস্ত্র ও টাকা সংগ্রহ করছিল বলেও জানা গেছে। এমনকি তারা খিদিরপুরে একটি বৈঠকও করেছে। কাদের সাথে সেই বৈঠক তারা করেছে সেটা জানার চেষ্টা করছে এসটিএফ।

ধৃতদের থেকে আরও তথ্য পেতে তাদের জেরা করা চলছে। একদিকে নৃশংস ভিডিও তথা দেশবিরোধী ভিডিও তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিত। এছাড়াও জঙ্গি সংগঠনে। লোক টানার কাজ তারা করত আইএসের জন্য।

সাদ্দাম ও সৈয়দ দুজনেই মেধাবী ছাত্র। সাদ্দাম আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমটেক করছিলেন। অন্যদিকে সৈয়দ পড়াশোনা করছিল কোম্পানি সেক্রেটারি নিয়ে। তার বাবার নির্মাণের ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত হয়েছিল সে। দু’জনেই প্রায় সমবয়সী। তাদের বয়স ২৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। তারা দুজনে বন্ধু, একে অপরের বাড়িতেও যাতায়ত ছিল দু’জনের। তাদের বাড়ি থেকে কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক, ল্যাপটপ, মোবাইল সহ নানান নথি ও জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলিও পরীক্ষা করে দেখছেন তদন্তকারীরা। একই সঙ্গে কয়েকটি সন্দেহ ভাজন সংস্থার সঙ্গে তাদের যোগাযোগ তৈরি হয়েছিল বলেও জানতে পেরেছে তদন্তকারীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.