অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিপিএফ নেতা হিতেশ বসুমতারিকে। কোকরাঝাড়ে তাঁর বাড়িতে তালাশি চালিয়ে বিপুল সংখ্যার সক্রিয় বুলেট সহ লাইসেন্সবিহীন দুটি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র একে-৪৭ ও এম-১৬ রাইফেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদেরও অবৈধ অস্ত্র আইনে পুলিশ গ্রেফতার বলে জানা গেছে।
গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে বাকসার পুলিশ সুপার রাজেন সিং এবং ডিএসপি সদর শেখরজ্যোতি রায়ের নেতৃত্বে মুসলপুর পুলিশের এক বিশাল দল অভিযান চালায় কোকরাঝাড় জেলার অন্তর্গত মুসলপুরের বেলগুড়িতে চাপাগুড়ির প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিটিসির প্রাক্তন কার্যনির্বাহী সদস্য তথা বড়োল্যান্ড পিপলস ফন্ট্রের নেতা হিতেশ বসুমতারিকে আটক করেছিল। এর পর গোটা রাত তার বাড়িতে তালাশি চালিয়ে বহু সক্রিয় বুলেট সহ দুটি একে-৪৭ ও এম-১৬ রাইফেল উদ্ধার করে পুলিশের অভিযানকারী দল।
হিতেশ বসুমতারি ছাড়াও আরও দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা বডোল্যান্ড জাতীয় সুরক্ষা মঞ্চের কার্যনির্বাহী সভাপতি দাওরাও দেশরেব নার্জারি এবং বোডোল্যান্ড কনট্রেক্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিক্রম দৈমারি। এই দুজনের বিরুদ্ধেও কোকরাঝাড় সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে দেশরেব নার্জারির পরিবারের অভিযোগ, বড়ো রাজনৈতিক নেতা তাঁদের বাড়ির প্রাচীর ডিঙিয়ে কোকরাঝাড় পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তবে কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে সে সম্পর্কে এখনও তাঁদের জানানো হয়নি বলে অভিযোগ পরিবারের।
বিপিএফ নেতা হিতেশ বসুমতারি কী কারণে এত সক্রিয় বুলেট সহ দুটি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র তাঁর বাড়িতে মজুত রেখেছিলেন, সে সম্পর্কে সৃষ্টি হয়েছে তীব্ৰ প্ৰতিক্ৰিয়া ও চাঞ্চল্য। একটি সূত্রের খবর, হিতেশ বসুমতারি একটি নয়া দল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন। তবে ওই দল গঠনের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র মজুতের কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।