ফুটবল সম্রাট পেলের (Pele) প্রয়াণের শোকে এখনও মূহ্যমান ফুটবলবিশ্ব। এর মধ্যেই আরও একটা হৃদয়বিদারক খবর। ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধে হেরে গেলেন ইটালির প্রাক্তন স্ট্রাইকার জিয়ানলুকা ভিয়ালি (Gianluca Vialli)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। ইতালির সংবাদমাধ্যমে ভিয়ালিকে ‘ক্যাপ্টেন’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। লা স্তাম্পায় শোকজ্ঞাপন করে বলা হয়েছে, ‘ক্যাপ্টেন ফরএভার।’ ‘সবার রোল মডেল’ ছিলেন ভিয়ালি। এভাবেও ইতালির পত্রপত্রিকায় লেখা হয়েছে ভিয়ালি সম্পর্কে।
২০১৭ সালে অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার ধরা পড়েছিল ভিয়ালির। বছর ঘুরতে না ঘুরতে সুস্থও হয়ে উঠেছিলেন। ২০২১ সালে মারণ ক্যানসারের থাবায় ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন বিখ্যাত এই ফুটবলার।
শুক্রবার থেমে গেল সব লড়াই। হার মানলেন স্ট্রাইকার। ইটালির ক্লাব সাম্পোদোরিয়া, জুভেন্টাসের হয়ে খেলেছিলেন ভিয়ালি। পরে ইটালি ছেড়ে চলে যান চেলসিতে। ইটালির জার্সিতে ৫৯টি ম্যাচ খেলেন ভিয়ালি। জাতীয় ফুটবল দলের ‘হেড অফ ডেলিগেশন’ হয়েছিলেন। পরে অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় সেই কাজ ছাড়তে বাধ্য হন ভিয়ালি।
১৯৯০ সালের বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ইটালিতে। সেবার জাতীয় দলের হয়ে খেলতে দেখা গিয়েছিল ভিয়ালিকে। কিন্তু ইটালিয়া ৯০-এ অখ্যাত থেকে রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে গিয়েছিলেন স্কিলাচি। ক্লাব পর্যায়েও সফল ভিয়ালি। জুভেন্টাসের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিলেন। ক্লাব ফুটবলে ২৫৯টি গোলের মালিক তিনি। জাতীয় দলের হয়ে করেছেন ১৬টি গোল। ১৯৯৯ সালে তিনি বুটজোড়া তুলে রাখেন।
১৯৯৮ সালেই চেলসির কোচ ও খেলোয়াড়, এই দুই ভূমিকাতেই দেখা গিয়েছিল ভিয়ালিকে। ঘটনা হল ফুটবলার থাকার সময়েই তিনি কোচিং করাচ্ছিলেন। ১৯৯৮ থেকে ২০০০ পর্যন্ত চেলসির কোচ ছিলেন ভিয়ালি। ২০১৫ সালে ভিয়ালি ইটালির ‘হল অফ ফেমে’ জায়গা পান। ২০১৯ সালে হেড অফ ডেলিগেশন হন। ২০২১ সালে ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয় ইটালি। সেই সময়ে ইটালির কোচ ছিলেন রবার্তো ম্যানচিনি। উল্লেখ্য, সেই সাম্পোদোরিয়ার সময় থেকেই ম্যানচিনি এবং ভিয়ালির মধ্যে দারুণ বন্ধুত্ব। ইউরো চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য ছিলেন ভিয়ালি। ইউরোপসেরা হওয়ার পর দুই বন্ধু একে অপরকে জড়িয়ে ধরেছিলেন। সেই দৃশ্য ধরা পড়েছিল ক্যামেরায়। ভিয়ালির প্রয়াণে শোকস্তব্ধ ফুটবলমহল। শোকজ্ঞাপন করেছেন গ্যারি লিনেকার-সহ আরও অনেকে।