শহর থেকে জেলা, গোটা রাজ্যেই হাড় কাঁপানো ঠান্ডা। শুক্রবারই চলতি মরসুমের শীতলতম দিন। তবে ২৪ ঘণ্টায় খানিকটা উর্ধ্বগামী হল পারদ। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পারদ উঠলেও শীতের আমেজ পুরোদস্তুর বজায় রয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, আরও নীচে নামতে পারে তাপমাত্রা। আপাতত শীতের স্পেল চলবে আরও সাতদিন। কনকনে ঠান্ডা জেলায় জেলায়। পশ্চিমের জেলাগুলিতে কোথাও কোথাও শৈত্য প্রবাহের মতন পরিস্থিতি। উত্তরবঙ্গের দু এক জেলায় ঘন কুয়াশা হতে পারে। বাকি জেলায় সকালে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা। পরে পরিষ্কার আকাশ। অবাধে উত্তুরে হওয়া বইবে রাজ্যজুড়ে।
পাশাপাশি, ফের তাপমাত্রা বাড়ার পূর্বাভাসও দিয়েছেন আবহবিদরা। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সাময়িক পারা-পতন হলেও, শনি ও রবিবার ফের তাপমাত্রা বাড়বে। তবে বছর শেষ ও বর্ষবরণে শীতের শিরশিরানি বজায় থাকবে। জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ার সম্ভাবনা নেই। অন্যদিকে, মৌসম ভবনের তরফে জানান হয়েছে, আজ পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আসছে।
৭ জানুয়ারি ও ১০ জানুয়ারি দুটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা উত্তর-পশ্চিম ভারতে। এর প্রভাবে শনিবার থেকে সোমবারের মধ্যে বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা দেশের কিছু রাজ্যে। একটি অক্ষরেখা রয়েছে মধ্যপ্রদেশ থেকে মধ্য মহারাষ্ট্র পর্যন্ত। এদিকে, শৈত্য প্রবাহ পরিস্থিতি জম্মু কাশ্মীর পাঞ্জাব হরিয়ানা হিমাচল প্রদেশে। শৈত্য প্রবাহের পরিস্থিতি চন্ডিগড় দিল্লি এবং উত্তর প্রদেশের কিছু অংশে। রাজস্থানের কোথাও কোথাও চরম শৈত্য প্রবাহের সতর্কতা রয়েছে। এছাড়াও গ্রাউন্ড ফ্রস্ট হতে পারে রাজস্থানের বেশ কিছু এলাকায়।