২০৬ রানের বিশাল টার্গেট। তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লের মধ্যেই প্যাভিলিয়নে অধিনায়ক-সহ চার ব্যাটার। প্রবল চাপের মুখে লড়াই করেও হার মানল হার্দিক ব্রিগেড। অক্ষর প্যাটেলের দুরন্ত ইনিংসের পরেও ম্যাচ হাতছাড়া ভারতের। তিন ম্যাচের (India vs Sri Lanka) সিরিজে সমতা ফেরাল লঙ্কা ব্রিগেড।
হারলেও সমস্যা নেই, কারণ চাপের মুখে খেলতে পারলেই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে লড়াই করার অভিজ্ঞতা পাবে দল- শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতে এই কথাই বলেছিলেন অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া। দ্বিতীয় ম্যাচেই পাহাড়প্রমাণ চাপের মধ্যে পড়ল ভারতের তরুণ ব্রিগেড। ২০৬ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লের মধ্যেই চার উইকেট হারায় মেন ইন ব্লু। অক্ষর প্যাটেলের (Axar Patel) চেষ্টা কাজে এল না। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ হাতছাড়া হল ভারতের।
বৃহস্পতিবার টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক হার্দিক। ইনিংসের শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের রাস্তায় হাঁটেন লঙ্কা ব্যাটাররা। ৮০ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ গড়েন পাথুম নিশঙ্ক ও কুশল মেন্ডিস। ভারতকে ম্যাচে ফেরান চাহাল। তাঁর ডেলিভারিতেই ৫২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন কুশল। মাঝের ওভারগুলিতে বিপক্ষ ব্যাটারদের উপর চাপ তৈরি করেন উমরান মালিকরা। পরপর দুই বলে উইকেট তুলে নিয়ে ভারতকে ম্যাচে ফেরান জম্মু-কাশ্মীরের বোলার। ভারতীয়দের মধ্যে তিনিই সর্বোচ্চ ৩ উইকেট তুলে নেন। তবে শেষের দিকে ঝোড়ো ব্যাটিং করেন অধিনায়ক দাসুন শানাকা। মাত্র ২২ বলে ৫৬ রান করেন তিনি। অধিনায়কের ইনিংসে ভর করেই দু’শো পেরয় লঙ্কা বাহিনী।
বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায় ভারত। দ্বিতীয় ওভারেই আউট হন ইশান কিষাণ। একই ওভারের শেষ বলে ফিরতে হয় শুভমন গিলকেও। এদিনের ম্যাচে অভিষেক হওয়া রাহুল ত্রিপাঠীও নজর কাড়তে পারেননি। ৫ রান করেন তিনি। পাওয়ার প্লের মধ্যে চার উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা ইনিংসের হাল ধরেন সূর্যকুমার যাদব ও অক্ষর প্যাটেল। মাত্র ২০ বলে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকান ভারতীয় অলরাউণ্ডার। ৫১ রান করেন সূর্যও। শেষের দিকে ২৬ রানের দুরন্ত ক্যামিও ইনিংস এল শিবম মাভির থেকে। কিন্তু ১৯০তে থেমে গেল ভারত।