বাংলাদেশ থেকে আরও ১৭ শরণার্থীর প্রবেশ উত্তরপূর্বের মিজোরামে

 বাংলাদেশ থেকে আরও ১৭ শরণার্থী প্রবেশ করেছেন উত্তরপূর্বের ছোট্ট রাজ্য মিজোরামে। বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের পার্বত্য জনগোষ্ঠীয় মিজো কুকি-চিন সম্প্রদায়কে পারভার কমিউনিটি হল-এ রাখা হয়েছিল। স্থানীয় মানুষজন তাঁদের খাবার ও অন্যান্য চাহিদা সরবরাহ করছিলেন। কিন্তু বাস্তুচ্যুত কুকি-চিন সম্প্রদায়ভুক্ত জনগোষ্ঠী বাংলাদেশ ছেড়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মিজোরামে এসে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন। এদিকে মিজোরামের সাংসদ ভ্যানলালভেনা কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে উদ্বাস্তুদের মিজোরামে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

সরকারি এক সূত্রের বক্তব্য, শুক্রবার বিএসএফ যে ১০০ জন অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছিল, সেই ১০০ জন মিজোরাম, বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের ত্রিকোণ সীমান্ত এলাকায় লুকিয়ে ছিলেন। সরকারি হিসাব, প্রায় ৯০ জন মানুষ যাদের বলপূর্বক ফেরত পাঠানো হয়েছিল তারা খাদ্যের সন্ধানে বাংলাদেশের জঙ্গলে লুকিয়ে ছিলেন। কেননা, তারা গত কয়েকদিন অনাহারে থাকায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

সূত্রের মতে, পারভা গ্রামে এখনও ৩১০ জন শরণার্থী রয়েছেন। তবে এখনও ৮০০ জনের বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষ অনাহারে বাংলাদেশের জঙ্গলে লুকিয়ে দিন গুজরান করছেন। সরকারি সূত্র আরও বলছে, দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশের চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চল থেকে অন্তত ১১ জন অভিবাসী গত বছরের ১ ডিসেম্বর ভারতে পালিয়ে এসে মিজোরাম, বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের ট্রাই-জংশনের কাছে কামটুলি গ্রামে আশ্রয় চেয়েছিল। ২০ নভেম্বর (২০২২) থেকে ৩০৪ জন কুকি-চিন মিজোরামের আশপাশের গ্রামগুলিতে আশ্রয় চেয়েছে।

বলা হচ্ছে, মিজোরাম সরকার এখন মায়ানমার এবং বাংলাদেশ থেকে মোট ৪০ হাজার শরণার্থীকে লালন-পালন করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.