মোমিনপুরে জেহাদি হামলার তদন্তে এনআইকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্থানীয় মুসলিমদের বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে মোমিনপুরের ভূকৈলাস রোডের একাধিক ঠিকানাসহ মোট ১২ জায়গায় তল্লাশি করেন এনআইএ-র গোয়েন্দারা। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। তল্লাশিতে গিয়ে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাদের।
লক্ষ্মীপুজোর রাত ও তার পরদিন কলকাতার মোমিনপুরে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ায়। হিন্দুদের বাড়িঘ্র ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেমে গুরুতর আহত হন কলকাতা পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক। এর পর ঘটনার তদন্তে নেমে মোট ৫টি এফআইআর দায়ের করে কলকাতা পুলিশ। মোট ৪৫ জনকে গ্রেফতার করে তারা।
ঘটনার এইআইএ তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। আদালত জানায়, ঘটনার বিস্তারিত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে দেবে রাজ্য সরকার। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে এইআইএ তদন্তের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। গত ১৪ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জাননো হয় এই হিংসার তদন্ত করবে এইআইএ।
ভুধবার তল্লাশী শুরু হলে স্থানীয়রা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের বাধা দেন। তদন্তকারীদের গাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। ময়ূরভঞ্জ রোড এবং ভুকৈলাস রোডে বাধাপ্রাপ্ত হতে হয় তাঁদের। বেশ কিছুক্ষণ আটকে থাকতে হয় এনআইএ কর্তাদের। তবে, সেসব উপেক্ষা করেই শেষপর্যন্ত মোমিনপুর এবং বন্দর এলাকার মোট ১৭ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় এনআইএ। সূত্রের খবর, ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর টাকা উদ্ধার করেছে এনআই। শুধু ভুকৈলাস রোডের চারটি বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছে ৩৩ লক্ষ টাকা।