আদিবাসীদের অবরোধে বাঁকুড়ায় চরম ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ

পৃথক সাওতালি শিক্ষা বোর্ড গঠন, বন্ধ আদিবাসী হোস্টেল খোলা, বন আইন ২০২০ বাতিল, সাঁওতালি ভাষার শিক্ষক নিয়োগ সড় ১২ দফা দাবিতে আদিবাসীদের সংগঠন সারা ভারত জাকাত মাঝি পারগনার ডাকে অবরোধে নাকাল নিত্য যাত্রী থেকে স্কুল পড়ুয়া ও সাধারণ মানুষ।

আজ সকাল ৬ টা থেকে শুরু হয়েছে রাজ্য জুড়ে ১২ ঘন্টার রাস্তা অবরোধ। বাঁকুড়ার চৌদ্দটি জায়গায় বিক্ষোভ কর্মসূচি ও অবরোধ চলছে। এর ফলে বাঁকুড়ার মেইন বাসস্ট্যান্ডের সকল বেসরকারি বাস চলাচল প্রায় বন্ধ। তবে সরকারি বাস চলেছে। এতে নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে স্কুল কলেজ অফিসের যাত্রীরা প্রচন্ড অসুবিধা সম্মুখীন হয়। বাঁকুড়া- রানীগঞ্জ, বাঁকুড়া- দুর্গাপুর ও ঝাড়গ্ৰামের সঙ্গে বাঁকুড়ার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এর ফলে ভীষণভাবে দুর্ভোগের শিকার হতে হয়
মানুষকে। তবে কোথাও কোনো বড় অশান্তির খবর এখনো পর্যন্ত নেই বলে পুলিশ প্রশাসনের থেকে জানানো হয়েছে।

এদিকে এ ব্যাপারে বাঁকুড়া জেলার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডঃ সুভাষ সরকার বলেন, “ভারত সরকার ও তার সঙ্গে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিজেপি আদিবাসী সমাজ সম্পর্কে অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল। আমরা জানি অটল বিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সাঁওতালি ভাষাকে অষ্টম তফসিলে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
তারপরে এত বছর অতিক্রম হয়ে গেল পশ্চিমবঙ্গে সাঁওতালি ভাষাতে শিক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে। সেটাও ১৫ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও সেখানে কেন স্কুলে ক্লাসরুম নেই? শিক্ষক নেই? কাজেই আজকে তাদের এই দাবি অত্যন্ত ন্যায্য দাবি। এটাকে আরো আগেই চিন্তা করা উচিত ছিল। আমি চাই পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাদের উপর সহানুভূতিশীল হয়ে দায়বদ্ধতা পালন করুক এবং সেখানে সাঁওতালি ভাষা শিক্ষকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়া উচিত। আসলে কি কোষাগারের দেউলিয়া অবস্থা! আর মানসিকতা নেই যে শিক্ষক নিয়োগ করবে? সেটাই হচ্ছে সমস্যা। তারা তাদের ন্যায্য দাবির জন্য এই আন্দোলন করছে।” বলে তিনি জানান।

এদিকে বাঁকুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে আদিবাসী সমাজ সংগঠনের ডাকা বনধের বিষয়ে কাউকে অ্যারেস্ট করা হয়েছে কিনা প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, “খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে, এখনো পর্যন্ত গ্ৰেপ্তারের কোনো খবর আমাদের কাছে নেই।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.