ভোটের আগে এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন মমতা দিদি, তাঁকে মিষ্টি ও পাঞ্জাবি পাঠান। সেই সময় প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য নিয়ে প্রতিবাদ করতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল নেত্রীকে। তিনি বলেছিলেন এইভাবেই ইমেজ বিল্ডআপ হয় না। যদিও সূত্রের খবর অনুযায়ী, এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলুদ গোলাপের স্তবক ছাড়াও সেই মিষ্টি ও পাঞ্জাবি উপহার দিয়েছেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সকালেই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে সেই উপহার পৌঁছে গিয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রীকে হলুদ গোলাপে শুভেচ্ছা এদিন বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ৭ নম্বর লোক কল্যাণ মার্গে পৌঁছে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীর হাতে হলুদ গোলাপের থোকা থুলে দেন তিনি। পাল্টা মোদীও মমতাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
ত্রুটি রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী সূত্রের খবর অনুযায়ী, ত্রুটি রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী। মিষ্টিমুখ করানোর পাশাপাশি, পাঞ্জাবিও দেন প্রধানমন্ত্রীকে। চন্দননগরের বিখ্যাত সূর্য মোদকের দোকানের জলভরা সন্দেশ মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে গিয়েছিলেন। একইসঙ্গে ছিল বাংলার তাঁতশিল্পীদের তৈরি পাঞ্জাবির সেটও।
ভোটের আগে মিষ্টিতেই সরগরম হয়েছিল রাজনীতি লোকসভা ভোটের আগে এই মিষ্টি আর পাঞ্জাবিতে সরগরম হয়েছিল রাজনীতি। অভিনেতা অক্ষয় কুমারের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মিষ্টি আর পাঞ্জাবির কথা তুলেছিলেন মোদী। সেই সময় বিরোধীরা সেই মন্তব্য নিয়ে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। মোদীর কথা প্রসঙ্গে মমতা সেই সময় বলেছিলেন এভাবে ইমেজ বিল্ড আপ হয় না। অনেককেই এমন উপহার তিনি পাঠিয়ে থাকেন বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পরবর্তী সময়ে মমতা বলেছিলেন মিষ্টির মধ্যে কাঁকড় ভরে দেবেন। যদিও শেষ পর্যন্ত সেই মিষ্টিই তুলে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী এদিন নিজেই জানিয়েছেন, মোদীর দ্বিতীয় দফার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অপ্রীতিকর পরিস্থির জন্য যোগ দেওয়া হয়নি। তারপর কেটে গিয়েছে প্রায় ৪ মাস। এবার ৭ নম্বর লোক কল্যাণ মার্গে এদিন বিকেল ৪.৩০-এর বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক চলে প্রায় আধঘন্টা।