বর্ষ বরণের রাতে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া এক গ্রামে।
মৃত ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, রবিবার সন্ধেয় বাড়িতে কেউ ছিল না সেই সুযোগে বাড়িতে আসে প্রতিবেশী কয়েকজন যুবক যুবক। ঘরের দরজা ভেঙ্গে ছাত্রীকে ধর্ষণের পর খুন করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। এরপর অপরিচিত ফোন নম্বর থেকে ফোন করে ছাত্রীর দিদিকে এক যুবক জানায় বাড়িতে যেতে।
এরই মাঝে ছাত্রীর এক আত্মীয় এসে দেখতে পায় ঘরের দরজা ভাঙ্গা৷ মেঝেতে পড়ে আছে ওই ছাত্রী। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা জানায় ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। ছাত্রীর ঘর থেকে পাওয়া যায় অভিযুক্ত একজনের মোবাইল ও জুতো। পরিবারের অভিযোগ, পড়শি যুবক ধনঞ্জয় রায়, গোপাল তন্ত্র, রাজু তন্ত্র, রাহুল তন্ত্র, হৃদয় দেবনাথরা এসেছিল। অভিযুক্ত ও অভিযুক্তদের পরিবার পলাতক।
কোতোয়ালি থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্তের পরিবারের এক সদস্যকে আটক করে। এরপর জেরা করে অভিযুক্ত ও অভিযোগে নাম থাকা গোপাল তন্ত্রকে আটক করে পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত জনতা অভিযুক্তকে মারধর করে। মৃত ছাত্রীর মামা জানিয়েছেন, “আমার বাড়িতে ভাগ্নির মা ও বাবা গিয়েছিল গতকাল রাতে। এরপর এক মোবাইল থেকে আমার আরেক ভাগ্নিকে ফোন করে জানানো হয় আমার ছোট ভাগ্নি শেষ, বাড়িতে যেতে বলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। বালিশ চাপা দিয়ে মারা হয় ভাগ্নিকে।”
মৃতের বাবা জানিয়েচ্ছেন, “আমার মেয়েকে রিরক্ত করত ছেলেরা। এর আগেও পঞ্চায়েতের সালিসি সভা হয়। গতকাল বাড়িতে শুধু সে একা ছিল। ঘরের দরজা ভেঙ্গে মেয়েকে খুন করে পালিয়ে যায়।”
গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য বিকাশ বসাক বলেন, “এর আগেও ছেলেরা বিরক্ত করেছিল। সালিসি সভা হয়। ক্ষমা চেয়েছিল। এরই মধ্যে এই ঘটনা। অভিযোগ প্রমাণ হলে শাস্তি চাই।” পুলিশ জানায়, ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।