প্রতিবেশী দেশকে নিয়ে বিরক্ত ভারত (India)। সন্ত্রাসবাদকে (Terrorism) নিয়ে ভারত ও প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের (Pakistan) মধ্যে চাপান-উতোর লেগেই আছে। সম্প্রতিই রাষ্ট্রপুঞ্জ থেকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মঞ্চে সন্ত্রাসবাদ ও তাতে পাকিস্তানের মদত নিয়ে সরব হয়েছে ভারত।
সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ফের একবার পাকিস্তানকে খোঁচা দিল ভারত। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কথা বলতে গিয়েই শুক্রবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) পরোক্ষে পাকিস্তানকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, ভারতকে আলোচনার টেবিলে বসানোর জন্য সন্ত্রাসবাদকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা যায় না।
সাইপ্রাসে ভারতীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিদেশমন্ত্রী নাম না করেই সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “আমরা কখনও এই বিষয়টিকে (সন্ত্রাসবাদ) স্বাভাবিক হিসাবে মেনে নেব না। আমাদের আলোচনার টেবিলে বসানোর জন্য সন্ত্রাসবাদকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতে দেব না আমরা কখনওই। আমরা সকল প্রতিবেশীর সঙ্গেই ভাল সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই। কিন্তু ভাল প্রতিবেশী হওয়র অর্থ এই নয় যে সন্ত্রাসবাদ থেকে নজর ফিরিয়ে নেওয়া বা তাকে যুক্তিযুক্ত হিসাবে গণ্য করা। এই বিষয়টি আমরা স্পষ্ট করে দিতে চাই।”
তিনি আরও বলেন, “সীমান্ত নিয়ে আমাদের অনেক সমস্যা, প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। করোনাকালে সীমান্ত নিয়ে সমস্যা আরও বেড়েছে। আপনারা সকলেই জানেন চিনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক নয়। তার কারণ হল আমরা কোনওভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় পরিবর্তন আনার কোনও চেষ্টা বরদাস্ত করি না। সুতরাং বিদেশনীতির দিক থেকে, জাতীয় নিরাপত্তার দিক থেকে আমি আপনাদের কাছে কূটনীতির কঠোর অবস্থানের চিত্র তুলে ধরতে পারি।”
স্বাধীনতার পর থেকে ভারতের অগ্রগতি এবং ধীরে ধীরে অর্থনীতি যেভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠছে, সে সম্পর্কেও কথা বলেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের সম্পর্কে আমি কিছু বলতে চাই। যে সমস্ত ভারতীয়রা বিদেশে বসবাস করেন, যারা বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের পরিবারের অংশ, তাদের সকলকে বলছি, মোদী সরকার আসার পর থেকে অনাবাসী ভারতীয়দের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। দেশকে শক্তিশালী করতে বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয়রাও যে গুরুত্বপূর্ণ অংশ, তা আমরা স্পষ্ট জানিয়েছি। এই নিয়ে দ্বিধার কোনও বিষয়ই নেই। কিন্তু এ কথা শুধু মুখে বলেই হয় না। যত ভারতীয়রা দেশের বাইরে যাচ্ছেন, বৈশ্বিক কর্মস্থলেরস পরিধিও তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে ৩ কোটি ভারতীয়, ৩.৩ কোটি ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা বিদেশে বসবাস করছেন। ভারতে এর সুপ্রভাব একাধিকভাবে দেখা যাচ্ছে।”