কোভিড এসে গিয়েছে। সমাজের সর্বস্তরেই কোভিড নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই আশঙ্কার মধ্যেই গুগলকর্মীরা নতুন করে আশঙ্কার মধ্যে পড়লেন। শোনা গিয়েছে, গুগল অন্ততপক্ষে ১০,০০০ কর্মীছাঁটাই করবে।
এটা করা হবে এক পার্ফরম্যান্স রিভিউ সিস্টেমের ফলের উপর নির্ভর করে। আর এরই মধ্যে জানা গিয়েছে, এই রিভিউ সিস্টেমে অন্ততপক্ষে ৬ শতাংশ কর্মীদের পার্ফরম্যান্স আশানুরূপ নয় বলে ইতিমধ্যেই প্রমাণিত। ট্যুইটার আমাজন, গুগল, মেটা প্রায় সমগোত্রীয় কোম্পানি। এর মধ্যে ট্যুইটার ও আমাজন আগেই কর্মীছাঁটাইয়ের কথা ঘোষণা করেছিল। এবার করল গুগল।
এই বছরেই গুগল তার কর্মীদের কাজের খতিয়ান পরিমাপের লক্ষ্যে পার্ফরম্যান্স রিভিউ সিস্টেম এনেছিল। এবার সেই সিস্টেমের ফল প্রকাশ হবে। এবং জানা যাচ্ছে, যেসব কর্মীর পার্ফরম্যান্স প্রত্যাশিত মানের নীচে থাকবে তাঁদের ছেঁটে ফেলতে দ্বিধা করবে না কোম্পানি।
যদিও কর্মীরা ইতিমধ্যেই এই রিভিউ সিস্টেম নিয়ে তাঁদের ক্ষোভ জানিয়ে রেখেছেন। এই রিভিউ সিস্টেমের পদ্ধতি ও কৌশলগত বিষয়ে তাঁদের নানা আপত্তি রয়েছে। নতুন সিস্টেমে যে কাজের টার্গেট তাঁদের দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে তাঁদের যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে। তাঁরা এটিকে ‘নিয়ার-ইমপসিবল’ বলে উল্লেখ করছেন।
জেফ বেজোস প্রতিষ্ঠিত ই-কমার্স জায়ান্ট আমাজনে শুরু ছাঁটাই। নভেম্বরেই এই ছাঁটাইয়ের কথা ঘোষণা করেছিল আমাজন। তবে এই ঘোষণার সময়ে যে পরিমাণ কর্মী এই ঘটনায় প্রভাবিত হবে বলে মনে করা হয়েছিল তাঁর তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ কর্মচারী ছাঁটাই হবে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে মেটা এবং ট্যুইটারে ব্যাপক কর্মী ছাঁটাইয়ের পরে ইন্টারনেট জায়ান্ট আমাজনও তাদের প্রায় ১০,০০০ কর্মী কমানোর পরিকল্পনা করছে। পরে জানা গিয়েছে, সংস্থাটি আসলে দ্বিগুণ সংখ্যক কর্মচারীকে সরাতে পারে। ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টারের কর্মী, প্রযুক্তি কর্মী এবং কর্পোরেট এক্সিকিউটিভ সহ আগামী মাসে কোম্পানি জুড়ে প্রায় ২০,০০০ কর্মী চাকরি হারাতে পারেন।