মধুর প্রতিশোধেই জয়ে ফিরল এটিকে মোহনবাগান ( ATK Mohun Bagan)। দিন চারেক আগে গুয়াহাটিতে গিয়ে নর্থ ইস্টের কাছে হেরেছিল (NorthEast United FC vs ATK Mohun Bagan) জুয়ান ফেরান্দোর শিষ্যরা। বুধবার সন্ধ্যায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড ২-১ গোলে হারিয়ে দিল এফসি গোয়াকে (ATKMB vs FCG)। মেরিনার্সদের হয়ে গোল করলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস (Dimitri Petratos) ও হুগো বুমোস (Hugo Boumous)। গোয়ার একমাত্র গোলদাতা আনোয়ার আলি (Anwar Ali)। প্রথম লেগে এই গোয়ার বিরুদ্ধেই তাদের মাঠে ফেরান্দোর শিষ্যরা ০-৩ হেরে ফিরেছিল। এদিন মধুর বদলায় ফের জয়ের সরণিতে গঙ্গাপাড়ের শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব।
এদিন ম্যাচের ৯ মিনিটেই অজি বিশ্বকাপার পেট্রাতোসের গোলে এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান। রীতিমতো ভাঙাচোরা দল নিয়েই শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেন ফেরান্দোর শিষ্যরা। লিস্টন কোলাসোর পাস থেকেই পেট্রাতোস গোল করে এগিয়ে দেন দলকে। এরপরের ১১ মিনিট বাগান আরও জোড়া সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারেনি। তবে ২৫ মিনিটে নীরজ সিংয়ের ছোট্ট ভুল হিসেব বদলে দেয়। বাজে জায়গায় ফ্রি-কিক পেয়ে যায় গোয়া। এ়ডু বেদিয়ার অসাধারণ ফ্রি-কিক থেকে আনোয়ার আলি গোল করে স্কোরলাইন ১-১ করেন। আনোয়ার শুধু বুট ছুঁইয়ে স্কোরশিটে নাম লিখিয়ে ফেলেন। এরপর ৩৫ মিনিটে এটিকে মোহনবাগান ফ্রি-কিক পেয়েছিল। কোলাসো ঠিকঠাক জায়গায় বল রাখতে পারলে, বিরতির আগে ফেরান্দো ব্রিগেড ২-১ এগিয়ে মাঠ ছাড়তে পারত। দ্বিতীয়ার্ধে গোয়া আরও বেশি ডিফেন্সিভ হয়ে পড়ে। এবার পেত্রাতোস অ্যাসিস্ট করলেন। ৫২ মিনিটে তিনি নিখুঁত পাস বাড়ান বুমোসকে। ফরাসি মিডফিল্ডার কোনও ভুল করেননি জালে বল জড়াতে। তবে এদিন একাধিক সুযোগ হাতছাড়াও করে এটিকেএমবি। নাহলে আরও বড় ব্যবধানে জিততে পারত তারা।
একেবারে জেতার হ্যাটট্রিক করে এটিকে মোহনবাগান অশ্বমেধের ঘোড়ার মতো ছুটছিল। কিন্তু তারপরেই ছন্দ কাটে। পরপর দুই ম্যাচে ড্র করে এবং হার। ফুটবলারদের চোট-আঘাতের জন্য দল সাজাতেই রীতিমতো হিমশিম খেয়েছেন ফেরান্দো। সেখান থেকে এরকম দুরন্ত ছন্দে থাকা দলকে হারানো নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। এই জয় সবুজ-মেরুন বাহিনীকে বাড়তি অক্সিজেন দিল তা বলাই বাহুল্য়। এই ম্যাচের আগে কেরালা ব্লাস্টার্স তিনে উঠে গিয়েছিল। তারা এটিকে মোহনবাগানকে টপকে গিয়েছিল। বছরের শেষে এটিকে মোহনবাগান লিগের থার্ড বয় (১২ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট)। একে মুম্বই সিটি (১১ ম্যাচে ২৭), দুয়ে হায়দরাবাদ এফসি (১১ ম্যাচে ২৫)। চারে কেরালা (১১ ম্যাচে ২২) ও পাঁচে গোয়া (১২ ম্যাচে ১৯)