৩ লক্ষ কোভিড পরীক্ষার কিট কিনতে চলেছে রাজ্য সরকার

 ৩ লক্ষ কোভিড পরীক্ষার কিট কিনতে চলেছে রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, বিদেশি-সহ ৩৯টি নমুনা জিন সিক্যোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে।

করোনা পরিস্থিতিতে প্রতিটি নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে পাঠাতে হবে। বুধবার নবান্ন-র বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, ১০ লক্ষ কোভিশিল্ড টিকার ডোজ, নাকে দেওয়ার ৫ লক্ষ টিকা এবং ১ লক্ষ কোভ্যাক্সিন টিকার ডোজ রাজ্যের প্রয়োজন বলে কেন্দ্রকে ইতিমধ্যেই আবেদন জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, যেখানে হাসপাতালে পরিকাঠামো নেই সেখানে কোভিড ওয়ার্ড তৈরি করতে হবে। প্রয়োজন হলে পূর্ত দফতরের সাহায্য নিতে হবে। হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ শয্যার বন্দোবস্ত করতে হবে।

বুধবার বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্য সচিব। ছিলেন সব জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, জেলাশাসক, সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল-সহ আরও অনেকে। এদিনের বৈঠকে পাঁচ দফা নির্দেশিকা চালু করে রাজ্য সরকার।

করোনা রোগীদের মধ্যে বেশিরভাগই শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভোগেন। তাই হাসপাতালের প্রতিটি বেডে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেনের বন্দোবস্ত করতে হবে। আশঙ্কাজনক, অতি আশঙ্কাজনক রোগীর কথা মাথায় রেখে সবরকমের বেডের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

করোনা মোকাবিলার প্রথম শর্ত তড়িঘড়ি আক্রান্তকে চিহ্নিত করতে হবে। তাই উপসর্গ দেখা দিলেই করতে হবে নমুনা পরীক্ষা। সে কারণে প্রতিটি হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণ র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট মজুত রাখতে হবে। থাকতে হবে আরটিপিসিআর টেস্টের বন্দোবস্ত।

বর্তমানে টিকাকরণে উদাসীনতা দেখা দিয়েছে। তার ফলে ধুঁকছে রাজ্যের বহু টিকাকরণ কেন্দ্র। ফের রাজ্যবাসীকে বুস্টার ডোজ নেওয়ার ক্ষেত্রে সচেতনতা বাড়াতে হবে। হাসপাতালের পরিকাঠামোগত উন্নতির ক্ষেত্রে জেলাশাসক এবং সিএমওএইচদের সম্পূর্ণরকম সহযোগিতা করতে হবে। বলা হয়, করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট বিএফ ৭-এর খোঁজ পাওয়া গেলে, তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্বাস্থ্য দফতরে জানাতে হবে।

বর্ষশেষেও পিছু ছাড়ছে না করোনা। বরং আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ভাইরাস। চিনে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা। রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা নগণ্য। তা সত্ত্বেও মোকাবিলায় আগাম সতর্কতা নিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.