শারীরিক অবস্থা রীতিমতো সংকটজনক ছিল। বোমা বিস্ফোরণে ফের মৃত্যু হল শিশুর। গুরুতর আহত অবস্থায় আরও এক শিশু ভর্তি হাসপাতালে। মিনাখাঁর পর এবার বীরভূমের মাড়গ্রাম।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বীরভূমের মাড়গ্রামের একডালা গ্রামের বাসিন্দা জামিরুল ইসলাম। তাঁর দুই মেয়েরই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মায়ের সঙ্গে মামার বাড়িতে এসেছিল ওই দুই শিশু। শুক্রবার সকালে যখন বাড়ির সামনে খেলা করছিল তারা, তখন আচমকাই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে! বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হয় দু’জনই।
গুরুতর আহত অবস্থায় ওই দুই শিশুকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখান থেকে বর্ধমান হয়ে কলকাতা এসএসকেএম হাসপাতাল। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হল না! এদিন ভোরে মৃত্যু হয় একজনের। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বিস্ফোরণে তার দুই হাত, দুই চোখ, এমনকী মুখে গুরুতর আঘাত লেগেছিল। শারীরিক অবস্থা এতটাই সংকটজনক ছিল যে, অস্ত্রোপচারও করা যায়নি। আর একজনের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল।
কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটল? পরিবারের লোকের দাবি, বিয়ে অনুষ্ঠানে ফাটানোর জন্য বাড়িতে চকোলেট বোমা মজুত করে রাখা ছিল। সেই বোমা থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এদিকে পঞ্চায়েত ভোটেরও আর বেশি দেরি নেই। সেক্ষেত্রে বাড়িতে বোম মজুত করে রাখা অভিযোগও উঠেছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস।
এর আগে, উত্তর ২৪ পরগনা মিনাখাঁ মামার বাড়িতে বিস্ফোরণ প্রাণ হারিয়েছিল বালিকা। কীভাবে? স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মামার বাড়ি ছাদে বোমা মজুত করে রাখা ছিল। এরপর মাচা থেকে যখন নারকেল পাড়তে যায় ওই বালিকা, তখন সেই বোমা মাটিতে পড়ে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে কাঁকিনাড়ায়ও।