মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে নিশানা দেগে তৃণমূল বিধায়ক তথা অভিনেতা চিরঞ্জিৎ সম্প্রতি বলেছেন, “একটা জিনিস তো থাকবেই। আপনি যদি আমাকে গালাগালি করেন, তবে আমি আমার মেয়ের বিয়েতে আপনাকে নিমন্ত্রণ করব না। এখানেও বিষয়টা একই রকম।” বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে আসার পর শুরু হয়েছে প্রতিক্রিয়া।
একটি সংবাদ চ্যানেলের পোস্ট প্রকাশ্যে আসার পর তিন ঘন্টায়, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে চারটায় মন্তব্য হয়েছে ২৯৩। মাণিক বিশ্বাস লিখেছেন, “নিমন্ত্রণ করলেও যারা ভদ্রলোক তারা যাবে না ওই দুর্নীতির টাকায় খেতে। কাজ কাম নেই তো তাই এসব ফালতু কথা বলে এরা।“ মৌসুমী ভট্টাচার্য লিখেছেন, “যে বলছে সে কে হে, নিজেকে কি ভাবে কে জানে, ও নিমন্ত্রন করুক না করুক তাতে মিঠুনের কিচ্ছু এসে যাবে না।”
মনোজ রায় লিখেছেন, “কি বলছে নিজেই জানে না। কে যে এদের রাজনীতিতে নিয়ে এসেছে!” রাধিকারঞ্জন মল্লিক লিখেছেন, “সিনেমাতে কামাতে পারেননি বলেই তো ঘাসফুল চিবোতে কালিঘাটে ধর্ণা দিয়েছিলেন।” জয়ন্ত মণ্ডল লিখেছেন, “চটি চাটা চিরুদার মেয়ের বিয়ে!” অভিজিৎ দেবনাথ লিখেছেন, “তৃণমূল একটা চোরের দল। ঐ দলের সব নেতারা কোনো না কোনো ভাবে চুরির সঙ্গে যুক্ত। এইটাই বাস্তব সত্য।”
প্রণব কুমার দেব লিখেছেন, “তাহলে আন্তর্জাতিক চলচিত্র উৎসবটাকে মেয়ের বিয়ের নিমন্ত্রনের পর্যায়ে ফেলে দিয়েছে এঁরা! যোগ্য লোককে বারাসাতবাসী ভোট দিয়ে জিতিয়ে এনেছেন, কুর্নিশ জানাই।” অরুণা দত্ত লিখেছেন, “রাজনীতি করে কুৎসিত মন গড়ার চেয়ে মুক্ত মন অনেক বেশি সুন্দর।”
প্রঙ্গত, কিছুদিন আগেই বিজেপি বিধায়কের অনুরোধে কার্টুন এঁকে বিধানসভায় আলোচনার কেন্দ্রে এসেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মুখ খোলেন এই তারকা বিধায়ক। সম্প্রতি তিনি বারাসাতে অনুষ্ঠিত বড়দিনের এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই দেবশ্রী রায়, মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে তাঁর বিতর্কিত মন্তব্য তুমুল জল্পনা ছড়িয়েছে ফের একবার। বিনোদনের সঙ্গে অভিনেতা রাজনীতিকে যেভাবে মিশিয়েছেন তাতে প্রশ্ন উঠেছে।