অপরাধ বলতে, চা তৈরি করতে চাননি স্ত্রী। আর সেই রাগেই স্ত্রীকে পিটিয়ে খুন করলেন এক ব্য়ক্তি। মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়ন জেলার এই ভয়াবহ ঘটনা। সোমবার মধ্যপ্রদেশ পুলিশ সূত্রে এই খবর মিলেছে। সূত্রের খবর, ঝরদা থানা এলাকায় ঘাটিয়া গ্রামে এই ঘটনা। নিজের স্ত্রীকেই নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ উঠেছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। কিন্তু ঘটনাটা ঠিক কী হয়েছিল?
পুলিশ সূত্রে খবর, রুটি তৈরি করার চাকি বেলন দিয়ে দমাদম স্ত্রীকে মেরেছিলেন ওই ব্যক্তি। আর মারের চোটে অজ্ঞান হয়ে যান ওই মহিলা। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযোগ এমনটাই। কিন্তু কেন এভাবে স্ত্রীকে মারধর করলেন ওই ব্যক্তি?
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মহিলা চা করতে চাননি। এতে রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে যান তাঁর স্বামী। তারপরই শুরু হয়ে বেধড়ক মার। আর তাতেই স্ত্রীর অবস্থা ক্রমশ খারাপের দিকে যেতে শুরু করে।
পুলিশ সূত্রে খবর,স্ত্রীর অবস্থার অবনতি হচ্ছে এটা আঁচ করেই ভয় পেয়ে যান ওই ব্যক্তি। তিনি স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালেও নিয়ে গিয়েছিলেন। তবে চিকিৎসকদের সামনে আবার তিনি অন্য গল্প ফাঁদতে শুরু করেন। তিনি হাসপাতালে বলেন, আমার স্ত্রী বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়েছে। কিন্তু চিকিৎসক ও নার্সরা দেখেন বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হওয়ার কোনও চিহ্ন শরীরে নেই। এরপরই তাঁদের এনিয়ে সন্দেহ হয়।
এদিকে অবস্থা বেগতিক দেখে হাসপাতাল থেকে পিঠটান দেওয়ার চেষ্টা করেন ওই ব্যক্তি। অন্য়দিকে ততক্ষণে ওই মহিলার মৃত্যুও হয়েছে। শুধু চা করতে না চাওয়ার অপরাধে মাত্র ৪১ বছর বয়সে স্বামীর হাতে প্রাণ গেল ওই মহিলার।
এদিকে স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়েই হাসপাতাল থেকে গা ঢাকা দেন ওই ব্যক্তি। এদিকে পুলিশও ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে ময়দানে নেমে পড়ে। এরপর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধরা পড়ার পরেও পুলিশকে নানাভাবে বোকা বানানোর জন্য চেষ্টা শুরু করেছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু সেসব ধোপে টেকেনি। শেষ পর্যন্ত পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।
এদিকে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। সেই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরে পুলিশ মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায় ওই মহিলাকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। এরপর ওই ব্যক্তিকে টানা জেরা করা শুরু করে পুলিশ। তার কথার মধ্যে নানা অসংগতি ছিল। শেষ পর্যন্ত তিনি স্বীকার করে নেন স্ত্রীকে খুন করার বিষয়টি।