Fog: ঘন কুয়াশার দাপট, বাগডোগরায় বাতিল একাধিক বিমান, ট্রেনও ঢুকছে দেরিতে

ডিসেম্বরের শেষে উত্তরবঙ্গে শুরু হয়েছে ঘন কুয়াশার দাপট। কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে চারদিক। কাছের জিনিসও ভালো করে দেখা যাচ্ছে না। শীতও পড়েছে জাঁকিয়ে। আর কুয়াশার জেরে দৃশ্যমানতা ক্রমেই কমছে। তার জেরে মঙ্গলবার বাগডোগরায় বিমান ও ট্রেন চলাচল কিছুটা বিপর্যস্ত হয়েছে বলে খবর। এদিন একাধিক বিমান সকাল থেকে ওঠা নামা করতে পারেনি। তবে বেলার দিকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়।

সূত্রের খবর, এদিন সকালে ঘন কুয়াশায় ছেয়ে যায় চারদিক। তার জেরে দৃশ্যমানতা স্বাভাবিকভাবেই কমতে থাকে। এর ফলে তিনটি বিমান বাতিল হয়েছে বলে খবর। তার মধ্যে ভিস্তারার বিমান দিল্লি-ডিব্রুগড়-বাগডোগরা, ইন্ডিগো বিমান সংস্থার বেঙ্গালুরু-বাগডোগরা- বেঙ্গালুরু ও ইন্ডিগো বিমান সংস্থার অপর বিমান হায়দরাবাদ-বাগডোগরা-হায়দরাবাদ বিমান বাতিল হয়ে গিয়েছে। এর জেরে সমস্যায় পড়েন বিমানযাত্রীরা। সূত্রের খবর, একাধিক উড়ান যেগুলি বাগডোগরায় আসার কথা ছিল তা নির্ধারিত সময়ে বাগডোগরায় নামতে পারেনি। সেগুলি অন্য় বিমানবন্দরে নামবে বলে খবর। এদিকে বিমান বাতিলের জেরে বিমানের যাত্রীদের মধ্যে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়তে থাকে। এর সঙ্গে তাঁদের দুর্ভোগও বাড়়ে।

তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, শীতের দিনে বাগডোগরায় ঘন কুয়াশার জেরে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ার বিষয়টি একেবারেই স্বাভাবিক। মাঝেমধ্যেই এই ঘটনা হয়। এর জেরে বিমান বাতিল করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। মূলত যাত্রী সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ও ঝুঁকি এড়ানোর জন্যই এই বিমানগুলি বাতিল করা হয়।

এদিকে শুধু বিমান বাতিল হওয়ার নয়, প্রবল কুয়াশার জেরে রেল যোগাযোগও প্রতি বছরই শীতকালে বিপর্যস্ত হয়। এবারও তার অন্যথা হয়নি। এবারও শীতকালে ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হতে শুরু করেছে। ভোরের দিকে এনজেপি থেকে একাধিক ট্রেন নির্ধারিত সময়ে চলাচল করছে না। একাধিক ট্রেন তাদের গতি কমিয়ে দিয়েছে। তার জেরে সঠিক সময়ে স্টেশনে পৌঁছতে পারছে না দূরপাল্লার ট্রেন। এদিকে ভোরের দিকে ট্রেন পরিষেবাতে বিঘ্ন ঘটার জেরে পরবর্তী সময়েও সেই পরিষেবা স্বাভাবিক করতে সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ছে। এক্ষেত্রেও যাত্রী সুরক্ষা নিশ্চিত করার উপর জোর দিচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ।

এদিকে ডিসেম্বরে শেষেও কলকাতায় সেভাবে ঠান্ডার দেখা নেই। বেলা বাড়লেই কড়া রোদ। রাতেও সেভাবে ঠান্ডা অনুভব করা যাচ্ছে না। তবে আবহাওয়া অনেকটাই আরামদায়ক। অন্য়দিকে জেলাতে অবশ্য শীতের কাঁপুনি অনুভব করা যাচ্ছে। রাত গভীর হলে ঠান্ডার দাপটও বাড়ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.