আবাস যোজনার তালিকায় নাম নেই যোগ্যদের। এই নিয়ে রোজই বিক্ষোভ চলছে মুর্শিদাবাদে। সেই জনরোষ যদি ঘরে পৌঁছে যায়! এই আশঙ্কাতেই মুর্শিদাবাদের ভরতপুর ২ ব্লকের ১৭ সদস্যের মালিহাটি পঞ্চায়েতের ১৬ জনই ইস্তফা দিলেন শনিবার।
পদত্যাগী সদস্যদের দাবি, আবাস-যোজনার সমীক্ষায় বহু দরিদ্রের নাম বাদ গিয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, ‘তাঁরা আমাদের কাছে আসছেন, অথচ আমরা কিছু করতে পারছি না। সে কারণে জনরোষ থেকে বাঁচতে এই পথ নিতে হয়েছে’। নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানাতে গিয়ে এ দিন কেঁদেও ফেলেন এক তৃণমূলের পঞ্চায়েত-প্রধান।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর দেওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তারপরই কার্যত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে রাজ্যে। অভিযোগ, সার্ভের কাজে গিয়ে বিরোধের মুখে পড়ছেন সরকারি কর্মীরা। মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন প্রান্তে রোজই পঞ্চায়েত অফিস, আশাকর্মীদের বাড়িতে বিক্ষোভ হচ্ছে। কোথাও আবার রাস্তা রুখে চলছে আন্দোলন।
সমীক্ষা শেষে ইতিমধ্যেই উপভোক্তাদের নামের তালিকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, বহু দরিদ্র পরিবারের নাম সেখান থেকে বাদ পড়েছে। নিয়ম মেনে পঞ্চায়েত প্রধানদের গ্রামসভা ডেকে তালিকা অনুমোদন করাতে হচ্ছে। এর ফলে একাধিক জায়গায় গ্রাম সভাগুলিতেও গোলমাল বাধছে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, কোথাও ২০ শতাংশ, কোথাও বা ৩০ শতাংশেরও বেশি উপভোক্তার নাম বাদ গিয়েছে। ফলে ক্ষোভ বাড়ছে উত্তরোত্তর।