1/6পূর্বাঞ্চলের নজরে পশ্চিমবঙ্গ। অসমের সিমেন্ট নির্মাতা সংস্থা পূর্বাঞ্চল সিমেন্ট জানিয়েছে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে নিজেদের রাজ্যের বাইরে উত্পাদন কেন্দ্র গড়ে তুলতে চাইছে তারা। এই সম্প্রসারণ ও অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ার জন্য প্রায় ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থার এক কর্তা। আর সেই বহিঃরাজ্যের তালিকায় আছে পশ্চিমবঙ্গও। মাইথন গ্রুপের অধীনস্থ এই সংস্থার বর্তমানে গুয়াহাটির কাছে একটি ০.৫ মিলিয়ন টন উত্পাদন ক্ষমতার সিমেন্ট কারখানা রয়েছে।
2/6এই বিষয়ে পিটিআই-কে এক সাক্ষাত্কারে পূর্বাঞ্চল সিমেন্টের এমডি বেদান্ত আগরওয়াল জানালেন, আপাতত সংস্তা অসমের উত্তরাংশে খনির স্বত্ব এবং ব্রাউনফিল্ড সম্প্রসারণ প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।
3/6বেদান্ত আগরওয়াল বলেন, ‘আমরা এই সম্প্রসারণ প্রক্রিয়ায় আগামী ২-৩ বছরের জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছি। প্রাথমিকভাবে, আমরা আমাদের মোট উত্পাদন ক্ষমতা ১০ লক্ষ টনে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য স্থির করেছি। শুধু উত্তর-পূর্ব ভারতই নয়, তার বাইরের রাজ্যেও উত্পাদন কেন্দ্র গড়ে তুলতে পারে সংস্থা।
4/6’পূর্বাঞ্চলের বাজারের চাহিদা মেটাতে পশ্চিমবঙ্গে একটি গ্রাইন্ডিং ইউনিট স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে,’ জানিয়েছেন এমডি বেদান্ত আগরওয়াল। সংস্থার আধিকারিকরা জানালেন, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিনিয়োগ চাইছে। আর তার জন্য উত্পাদনকারী সংস্থাগুলিকে আহ্বান জানাচ্ছে। রাজ্যের কয়লার ভান্ডার বেশ উল্লেখযোগ্য। আর সেটার দিকে তাকিয়েই ভরসা পাচ্ছেন সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীরা।
5/6সাম্প্রতিক অতীতে, দেশের সিমেন্ট সংস্থাগুলি কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি এবং সরবরাহে বাধার মুখোমুখি হয়েছে। সম্প্রতি ২টি সিমেন্ট কারখানা বন্ধও করে দিয়েছে আদানি গোষ্ঠী অধীনস্থ সংস্থা।
6/6পূর্বাঞ্চলের এমডি জানান, ‘কয়লার ঘাটতির ফলে, এই শিল্পক্ষেত্রে খরচ মারাত্মক হারে বেড়ে গিয়েছে। আর সেই কারণে দামের অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। তবে, আপাতত ধীরে ধীরে হলেও পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।’