দিল্লি মেট্রোর ট্র্যাকে বড়দিনের দুপুরে আচমকাই একটি ড্রোন এসে পড়ে। হঠাৎ এভাবে মেট্রো ট্র্যাকে ড্রোনের আবির্ভাব ঘটায় স্বভাবতই আতঙ্ক ছড়ায়। প্রশ্ন ওঠে দিল্লি মোট্রোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। তবে পরে জানা যায়, ড্রোনটি একটি ওষুধ সংস্থার। ডেলিভারি করতে গিয়ে মট্রো ট্র্যাকে এসে পড়েছিল ড্রোনটি। ঘটনাটি রবিবার দুপুর তিনটে নাগাদ ঘটে। এরপরই তড়িঘড়ি যসোলা বিহার স্টেশনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল নাশকতার আতঙ্কে। দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশনের তরফে থেকে একটি টুইট করে লেখা হয়, ‘নিরাপত্তার কারণে যশোলা বিহার শাহিনবাগ থেকে বোটানিক্যাল গার্ডেনের মধ্যে ম্যাজেন্টা লাইনে পরিষেবা আপাতত উপলব্ধ নেই৷ অন্যান্য সমস্ত লাইনে স্বাভাবিক পরিষেবা চালু রয়েছে।’
ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তদন্ত শুরু হয়। পুলিশ জানায়, ড্রোনের সঙ্গে একটি নীল রঙের বাক্স ছিল। তাতে ওষুধ পাওয়া গিয়েছে। ড্রোনটির মালিক একটি ওষুধ সংস্থা। পুলিশ সেই ওষুধ সংস্থার নাম প্রকাশ না করলেও জানায়, বেশ কয়েকদিন ধরেই সংস্থাটি ড্রোনের মাধ্যমে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ওষুধ পৌঁছে দিচ্ছে। পরে আতঙ্কর কোনও কারণ নেই দেশে যসোলা বিহার মেট্রো স্টেশনটি ফের খুলে দেওয়া হয়। দিল্লির ম্যাজেন্টা লাইনে ফের চালু হয় মেট্রো পরিষেবা।
এদিকে অনুমতি ছাড়া উচ্চ নিরাপত্তার স্থানে ড্রোন ওড়ানো দণ্ডনীয় অপরাধ। এই আবহে সংশ্লিষ্ট ওষুধ সংস্থা ড্রোন ওড়ানোর জন্য পুলিশের থেকে কোনও আগাম অনুমতি নিয়েছিল কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এদিকে ট্র্যাকে পড়ে থাকা ড্রোনটির কারণে দুর্ঘটনাও ঘটতে পারত বলে আশঙ্কা। এই ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা আগেই কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেছিলেন, ‘দেশে এখন ওষুধ সরবরাহ করতে ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে, রক্ত সরবরাহের জন্য ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। যেখানে কোনও পরিবহন সুবিধা নেই সেখানে ড্রোনের মাধ্যমে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।’ ড্রোন নিয়ে তাঁর এই ইতিবাচক মন্তব্যের দুই দিনের মধ্যেই এই ধরনের ঘটনা ঘটল।