চন্দ্রযানের বিক্রমের খোঁজ পাওয়া গেল? ইসরো নয়, উৎকণ্ঠা ভরে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের (International Space Station) মহাকাশচারী নিক হগকে এই প্রশ্ন করেছেন হলিউড তারকা ব্র্যাড পিট। ল্যান্ডারের খোঁজ কবে মিলবে আগ্রহ ভরে জানতেও চেয়েছেন তিনি।
৬ সেপ্টেম্বর মধ্য রাত থেকেই চন্দ্রযানের ল্যান্ডার বিক্রমের আর কোনও খোঁজ নেই। রেডিও যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। থার্মাল ইমেজে বিক্রমের অবস্থান জানা গেছে বলে টুইট করে জানায় ইসরো। তার পরেও কেটে গেছে প্রায় সাত দিন।
মুখে কুলুপ এঁটেছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরাও। বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালাচ্ছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসাও। তবে বিক্রম নিশ্চুপ। নাসার জেট প্রোপালসন ল্যাবোরেটরির (JPL-Jet Propulsion Laboratory) ৭০ মিটারের অ্যান্টেনা থেকেও রেডিও যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। তবে সব আশাই ব্যর্থ হচ্ছে।
ব্র্যাডের পরবর্তী ছবি ‘অ্যাড অস্ত্র’ এক মহাকাশচারীর রহস্যময় অভিযানের গল্প। সেই সূত্রেই আইএসএস-এর মহাকাশচারী নিগকে ফোন করেছিলেন ব্র্যাড। তাঁদের ফোনালাপের পুরোটাই টুইটারে শেয়ার করেছে নাসা। যাতে নিককে বলতে শোনা গেছে, “আমি এখন শূন্যে ভাসছি। ওজনহীন দশা। আমার পা মাটিতে ঠেকছেই না। ” মাইক্রো-গ্র্যাভিটির কারণে স্পেস স্টেশনে সব কিছুই ভাসন্ত অবস্থায় থাকে।
স্পেস স্টেশনে প্রতিটা মুহূর্ত ঠিক কেমন ভাবে কাটে, সেটাও নিকের কাছে জানতে চান ব্র্যাড পিট। পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরে বেড়াতে কেমন লাগে সে বিষয়ে জানার আগ্রহও ছিল তাঁর। বিশেষত সকাল সাড়ে ৭টা আর সন্ধে সাড়ে ৭টার মধ্যে তফাৎ করা যায় কি না সেটাও কৌতুক ভরে নিককে জিজ্ঞেস করেন ব্র্যাড। এর পরেই আসে চন্দ্রযানের প্রসঙ্গ। ইসরোর মুন-মিশনের প্রশংসা করে উৎকণ্ঠার সঙ্গেই চন্দ্রযানের খোঁজ খবর নেন ব্র্যাড।