রাজ্যজুড়ে ঊর্ধ্বমুখী পারদ। ডিসেম্বরের শেষ অথচ নেই জমাটি ঠান্ডা। বরং রাজ্যজুড়েই বেড়েছে কুয়াশার আধিক্য। সকাল থেকেই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকেছে শহর থেকে জেলা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ৭২ ঘণ্টায় প্রায় ৬ ডিগ্রি বাড়ল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। অন্যান্য বেশ কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সকালে কুয়াশা, পরে পরিষ্কার আকাশ। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই তিলোত্তমায়। শীতের আমেজ উধাও থাকবে বুধবার পর্যন্ত।
তবে দার্জিলিঙে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঘন কুয়াশার দাপট উত্তরবঙ্গেও। দক্ষিণবঙ্গেও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা, পরে পরিষ্কার আকাশ। রোদ বাড়লে কার্যত গায়েব হবে শীতের আমেজ। হাওয়া অফিসের তরফে জানান হয়েছে, আজ থেকে তিন দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে । বৃষ্টি হবে দার্জিলিং মালদা এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। দক্ষিণবঙ্গেও সোমবার বৃষ্টির সম্ভাবনা বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে।
বিক্ষিপ্তভাবে এই জেলার এক জায়গায় খুব হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা। মঙ্গলবারেও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা দার্জিলিং এ। রাজ্যের বাকি কোথাও বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই।রাত ও দিনের তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়বে। শীতের আমেজ কার্যত উধাও আগামী কয়েক দিনের জন্য। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গে ঘন কুয়াশা এবং দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা।
মৌসম ভবনের তরফে জানান হয়েছে, বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপ ক্রমশ শ্রীলঙ্কা উপকূলের দিকে এগোচ্ছে। আজ এটি পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। ক্রমশ শ্রীলঙ্কা ও কোমোরিন এলাকায় এই গভীর নিম্নচাপ অবস্থান করে আরব সাগরের দিকে এগিয়ে যাবে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা রয়েছে উত্তর পশ্চিম ভারতে।
এছাড়াও কুয়াশার জন্য সতর্কবার্তা রয়েছে উত্তর-পশ্চিম ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে। শৈত্য প্রবাহ ও শীতল দিনের পরিস্থিতি থাকবে উত্তর-পশ্চিম ভারতের সমতল এলাকায়। আগামী চার দিন ঘন কুয়াশায় ঢাকবে পাঞ্জাব হরিয়ানা চন্ডিগড় এবং দিল্লির কিছু অংশ। মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা থাকবে আগামী দু-দিন হিমাচল প্রদেশ, দিল্লি, রাজস্থান, উত্তরবঙ্গ, সিকিম, ওড়িশা, আসাম এবং ত্রিপুরা ও উত্তরপ্রদেশ রাজস্থানের কিছু এলাকা। শৈত্য প্রবাহের সতর্কবার্তা রয়েছে রাজস্থানে। তীব্র শৈত্য প্রবাহ চলবে আগামী তিনদিন।