‘আগে ডাক্তার, বিজ্ঞানী, লেকচারার সাপ্লাই দিত। এখন বাংলা লেবার সাপ্লাইয়ের হাব হয়ে উঠেছে। বাংলায় চাকরি নেই, ভিন রাজ্যে হোটেল রেস্তোরাঁতে ওয়েটারের কাজ করছে এর চেয়ে বড় লজ্জা আর কি হতে পারে।’ রবিবার দুর্গাপুরের সগরভাঙায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারি বাজপেয়ীর জন্মদিনে সুশাসন দিবসের অনুষ্ঠানে এসে তৃণমূল সরকারকে এভাবেই আক্রমন করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। একই সঙ্গে বাংলায় তৃণমূল না করলে কাজ পাওয়া যায় না। অভিনেতা দেবকে জোর করে প্রার্থী করানো হয়েছিল বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২৫ ডিসেম্বর প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপায়ীর জন্মদিনটি সারা দেশজুড়ে বিজেপি সুশাসন দিবস হিসাবে পালন করছে। দুদিনের দুর্গাপুর সফরে এসেছিলেন সাংসদ তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি সুশাসনের বাখ্যা দিয়ে বলেন, “প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী দেশকে সুশাসন দেওয়ার ও পুর্নগঠন করার চেষ্টা করেছিলেন। নির্বাচন, শিক্ষা সহ নানান ক্ষেত্রে সংস্কার এনেছিলেন। তাঁর আমলে জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ শুরু হয়। সেসব অনুসরণ করে আজ মোদীজি দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। তাই অটলজীর উদ্দেশ্য পূর্ণ করার জন্য এই দিনটি সুশাসন দিবস হিসেবে পালন করা হয়।”
দিলীপবাবু আরও বলেন, “যত দুর্নীতি হয়েছে, সমস্ত দুর্নীতির হিসাব দিতে হবে। যা ইচ্ছে লিখে, কেন্দ্রের তদন্তকারীদের খাইয়ে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়। কিন্তু, মানুষকে বোঝানো যায়নি। মানুষ উৎসাহ পেয়েছে। আন্দোলন শুরু হয়েছে। দুর্নীতির হিসাবটা বুঝিয়ে দেবে।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজ্য ফ্লিম ফেস্টিবেলে ডাক পায়নি মহাগুরু। এমনকি নন্দনে তাঁর অভিনিত ‘প্রজাপতি’ সিনেমার উদ্বোধন করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “মিঠুনদা বাংলার সুপাস্টার। তিনি তৃণমূলে না থাকার কারনে ফ্লিম ফেস্টিবেলে তাকে ডাকা হয়নি।” তিনি আরও বলেন, “এরাজ্যে তৃণমূল না করলে কাজ পাওয়া যায় না। চাকরি পাওয়া যায় না। সিনেমায় নাটকে জায়গা পাবেন না। হল ঘর পাবেন না।” তিনি বলেন,” অভিনেতা দেব প্রার্থী হতে চায়নি, জোর করে তাকে দাঁড় করানো হয়েছিল। তারও ব্যাবসা বন্ধ করা হয়েছিল।”
প্রজাপতি সিনেমায় তৃণমূল সাংসদ দেব অভিনয় করেছেন। তারপরও নন্দনে সুযোগ না পাওয়ার প্রশ্ন করার প্রতিক্রিয়ায় দিলীপবাবু বলেন, “দেবের অপরাধ, মিঠুনদার সঙ্গে অভিনয় করেছেন।” তিনি আরও বলেন,” বাংলায় কর্মসংস্থান নেই, শুধু বন্দুক গুলি চলে, আর জঙ্গিদের আঁতুর ঘরে পরিণত হয়েছে, আর বাংলার ছেলে মেয়েরা শিক্ষিত হয়ে ভিন রাজ্যে গিয়ে হোটেল রেস্তোরাঁতে ওয়েটারের কাজ করছে। এর চেয়ে বড় লজ্জা কি হতে পারে। বাংলা আগে ডাক্তার, বিজ্ঞানী, লেকচারার সাপ্লাই দিত। এখন বাংলা লেবার সাপ্লাইয়ের হাব হয়ে উঠেছে।”