প্রাক্তন সতীর্থরাই এখন মমতার পথের কাঁটা, আগামী দিনে এরাই বিঁধবে গলায়

সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রাম আন্দোলনের দুই নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য এখন অন্য দলে৷ কেউ বলছেন, টাটাকে তাড়ানোর ক্ষেত্রে মমতার ভূমিকা ছিল৷ আবার কেউ বলছেন, সিঙ্গুর কোনও আন্দোলন ছিল না৷ নন্দীগ্রাম ছিল আসল আন্দোলন৷

সিঙ্গুর আন্দোলনে তৃণমূলের প্রথম সারীর নেতারা যেমন উপস্থিত ছিলেন, তেমন উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় মানুষ। সেই আন্দোলনের রাস্তা ধরেই রাজ্য রাজনীতির ফোকাসে এসেছিলেন বেচারাম মান্না, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য নেতৃত্ব৷

অন্যদিকে, নন্দীগ্রাম আন্দোলনে শিশির অধিকারী, শুভেন্দু অধিকারীদের ভূমিকা নিয়েও আলোচনা হয়েছে৷ কিন্তু দল বদলানোর পরেই কেন দুই আন্দোলনকে দাঁড়িপাল্লার মাপছেন তাঁরা? কেন আন্দোলনের যৌতিকতা নিয়ে আগে প্রশ্ন তোলেননি? প্রশ্ন তুলছে রাজনৈতিক মহল।

সিঙ্গুর আন্দোলন কোনও আন্দোলনই নয়, ওটা তো শিল্প তাড়ানোর আন্দোলন। নন্দীগ্রামের আন্দোলনই আসল আন্দোলন। বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামে প্রস্তাবিত কেমিক্যাল হাব গড়ার বরাত পেয়েছিল সালেম গোষ্ঠী। মোট ২৯টি মৌজা নিয়ে এই কেমিক্যাল হাব গড়ে ওঠার কথা ছিল। এর মধ্যে ২৭টি মৌজাই ছিল নন্দীগ্রামে। কিন্তু যা জমিটি অধিগৃহীত হওয়ার কথা ছিল, তা বহুফসলি জমি৷ এবং সেই জমি অধিগৃহীত হলে চল্লিশ হাজারেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷ এমনটা ভেবেই সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল গ্রামের মানুষ।

বাংলায় এখন রাজনৈতিক আবহাওয়ার বদল হয়েছে। এখ সিঙ্গুর আন্দোলন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, আমি টাটাকে তাড়াইনি। সিপিএম তাড়িয়েছে। ওরা জোর করে জমি নিতে গিয়েছিল। আমরা ফিরিয়েছি। কিন্তু সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই বলেন, টাটা চলে গিয়েছে আন্দোলনের ফলেই যার নেতৃত্ব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই আন্দোলনের ফলেতেই টাটা চলে গিয়েছে৷ তাঁর কথায়, মাথায় বাড়ি মেরে অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি কেড়ে শিল্প হোক, এখনও চাই না আমরা। তখনও চাইনি। সমঝোতার মাধ্যমে যদি টাটা এখানে শিল্প করত, তাহলে ভালো হত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.