করোনা বিধ্বস্ত চিনে ওষুধ পাঠাচ্ছে ভারত। বিএফ৭ সাব ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে ত্রাহি রব উঠেছে জিংপিংয়ের দেশে। হাসপাতালগুলোতে তিল ধারণের জায়গা নেই। ওষুধ বাড়ন্ত। এই পরিস্থিতিতে চিনকে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিল মোদী সরকার।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই চিনে করোনা সংক্রমণের হার ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। করোনাভাইরাসের নতুন উপরূপ ওমিক্রন বিএফ.৭-এর কারণেই চিন জুড়ে শুরু হয়েছে নয়া সংক্রমণ-পর্ব। কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তিদের বড় অংশেরই জ্বর-সহ অন্যান্য উপসর্গ রয়েছে। ফলে ভিড় বাড়ছে হাসপাতালগুলিতে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় ওষুধের অভাব দেখা দিয়েছে চিনে।
বিশেষজ্ঞ এরিক ফাইল-ডিং বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, চিনে জ্বরের ওষুধ প্রায় অমিল। দোকানে জ্বরের ওষুধ বাড়ন্ত হওয়ায় সরাসরি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার গুদামে গিয়ে ওষুধ কিনে আনছেন সে দেশের অনেক নাগরিক। পাশাপাশি, নাগরিকদের একাংশের মধ্যে ‘ভবিষ্যতের কথা ভেবে’ ওষুধ মজুত করার প্রবণতা দেখা দেওয়ায় সঙ্কট আরও বেড়েছে।
এই পরিস্থিতিতে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ওষুধ উৎপাদনকারী দেশ ভারত। লাদাখ, অরুণাচলে চিনা ফৌজের ধারাবাহিক আগ্রাসনের আবহেও প্রতিবেশীর সাহায্যে সক্রিয় হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সঙ্কটের মোকাবিলায় বেজিংকে প্রয়োজনীয় ওষুধ দেবে নয়াদিল্লি।