টি-২০ তো বটেই, অদূর ভবিষ্যতে ভারতের ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্বও পেতে পারেন হার্দিক পাণ্ডিয়া (Hardik Pandya)। রোহিতের ফিটনেসের কথা ভেবে সাদা বলের ক্রিকেটে অধিনায়ক বদলের ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে বিসিসিআই (BCCI)। বোর্ড সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে হার্দিকের মতামত চাওয়া হয়েছে বোর্ডের তরফে।
বুধবার ছিল বিসিসিআইয়ের অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠক। বোর্ডের শীর্ষস্তরের কর্তাদের এই বৈঠকে ভারতীয় দলের ফর্ম এবং টিম ম্যানেজমেন্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। সূত্রের খবর, বোর্ডের শীর্ষকর্তারা চাইছেন ধীরে ধীরে সাদা বলের ক্রিকেটে তরুণদের সুযোগ করে দিতে। সেকারণেই তরুণ প্রজন্মের কারও হাতে সীমিত ওভারের ক্রিকেটের ব্যাটন তুলে দিতে চাইছে বোর্ড। বিসিসিআইয়ের এক কর্তা জানিয়েছেন,”বোর্ডের অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকে অধিনায়কত্ব নিয়ে আলোচনা হয়নি। কিন্তু সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অধিনায়ক বদলের ব্যাপারটা আমাদের চিন্তাভাবনার মধ্যে রয়েছে। ইতিমধ্যেই হার্দিকের সঙ্গে এ নিয়ে কথা হয়েছে। ও নিজের মতামত জানানোর জন্য কিছুটা সময় চেয়ে নিয়েছে।”
আসলে অধিনায়ক হওয়ার পর গত এক-দেড় বছরে রোহিতের (Rohit Sharma) ফর্ম এবং ফিটনেস দু’টিই বড়সড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে। সদ্য টি-২০ বিশ্বকাপ এবং এশিয়া কাপে দলের ব্যর্থতার পর রোহিতের অধিনায়কত্ব নিয়েও প্রশ্ন ওঠা শুরু করেছে। প্রথমে শোনা যাচ্ছিল, হার্দিককে শুধু টি-২০ দলের অধিনায়কত্ব দেওয়া হতে পারে। তবে ভারতীয় বোর্ড সাদা বলের দুই ফরম্যাটে আলাদা আলাদা অধিনায়ক রাখার পক্ষপাতী নয়। তাই হার্দিকের হাতে যদি ব্যাটন তুলে দেওয়া হয়, তাহলে T-20 এবং ওয়ানডে দুই ফরম্যাটেই তাঁকে অধিনায়ক করা হবে।
যদিও ঠিক কতদিন বাদে হার্দিকের হাতে সাদাবলের ক্রিকেটের ব্যাটন তুলে দেওয়া হবে, সেটা এখনই স্পষ্ট নয়। রোহিতকে আগামী বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপ (ODI World Cup) পর্যন্ত দায়িত্বে রেখে দেওয়া হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। কারণ হার্দিকের ঘরোয়া ক্রিকেটে কোনও দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা নেই। শুধু আইপিএলে গুজরাট দলের অধিনায়ক তিনি। তবে প্রথম মরশুমেই গুজরাটকে চ্যাম্পিয়ন করে তাক লাগিয়েছেন তিনি। জাতীয় দলের জার্সিতে গোটা পাঁচেক টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। তবে বিশ্বকাপের পর যে হার্দিককেই অধিনায়ক হচ্ছেন, সেটা একপ্রকার নিশ্চিত।