করোনা ভাইরাসের যে নতুন উপরূপ চিনে মাথাচাড়া দিয়েছে, তার খোঁজ মিলেছে ভারতেও। ইতিমধ্যে ৪ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের ওই নতুন উপরূপের খোঁজ মিলেছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ওমিক্রন বিএফ.৭। আক্রান্তরা গুজরাত এবং ওড়িশার বাসিন্দা।
চিনে নতুন করে করোনার বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে। গত কয়েক দিনে দেশের বহু মানুষ ভাইরাসের নতুন উপরূপে আক্রান্ত হয়েছেন। চিনের সেই উপরূপের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে ভারতেও।
ভারতে ওমিক্রন বিএফ.৭-এর প্রথম আক্রান্তের খোঁজ মেলে অক্টোবর মাসে। গুজরাতের বায়োটেকনোলজি রিসার্চ সেন্টারে ধরা পড়ে ওই উপরূপ। এর পরে গুজরাতেই আরও এক আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যায়। এ ছাড়া, ওড়িশায় দু’জনের দেহে মেলে করোনার নতুন উপরূপের হদিস।
করোনা নিয়ে সতর্ক কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ইতিমধ্যে একটি বৈঠকে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বুধবার কেন্দ্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয় নয়াদিল্লিতে ডেকেছিলেন সেই বৈঠক। সেখানে বলা হয়, দেশে করোনা পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও করোনা পরিস্থিতির দিকে প্রতিনিয়ত নজর রাখা প্রয়োজন। নতুন আক্রান্ত, নতুন প্রজাতি, ভাইরাসের প্রকৃতির দিকে বাড়তি নজর রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে কেন্দ্রের বৈঠকে।
প্রসঙ্গত, প্রবল গণবিক্ষোভের মুখে পড়ে কিছু দিন আগেই শূন্য কোভিডনীতি শিথিল করেছিল চিনের প্রশাসন। তার পরই সে দেশে হু হু করে বাড়তে থাকে সংক্রমণ, বাড়তে থাকে মৃত্যুর সংখ্যাও। শুধু চিনই নয়, কোভিড সংক্রমণ বেড়েছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, আমেরিকা, ব্রাজিলের মতো দেশগুলিতেও।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে কোভিড পরীক্ষা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংগৃহীত নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য কেন্দ্রের অনুমোদিত ‘ইনস্যাকোগ’ পরীক্ষাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের ফলে জনগোষ্ঠীর মধ্যে কোভিডের নতুন কোনও প্রজাতি মিলছে কি না, তার একটা ধারণা পাওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, চিনের ওমিক্রন বিএফ.৭-এর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন, বেলজিয়াম, জার্মানি, ফ্রান্সের মতো দেশগুলিতেও।