ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে কোভিড টিকা নিতে চাননি এক শিক্ষক। তার ফলে তাঁর বেতন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেই সংক্রান্ত মামলায় শিক্ষকের আর্জি খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘স্কুল শিক্ষকদের কোভিড টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক এবং এটি কোনওভাবেই কারো ধর্মীয় আচার বা বিশ্বাসকে আঘাত করে না।’
মামলার বয়ান অনুযায়ী, ওই শিক্ষকের নাম নির্ঝর ব্রার। তিনি কলকাতার সেন্ট জেমস স্কুলের সহকারী একজন শিক্ষক। নির্ঝর একজন খ্রিস্টান। করোনার বাড়বাড়ন্তের সময় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে কোভিড টিকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। স্কুলেও তা বাধ্যতামূলক করা হয়। সেই মতো ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ কোভিড টিকা বাধ্যতামূলক করেছিল। ২০২১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর স্কুলের তরফে নোটিশ জারি করে জানানো হয়, সমস্ত শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীকে বাধ্যতামূলকভাবে কোভিড টিকা নিতে হবে। তা না হলে বেতন বন্ধ করা হবে। কিন্তু ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে ওই শিক্ষক টিকা নিতে অস্বীকার করেন। যার ফলে গত বছরের অক্টোবর থেকে তাঁর বেতন বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি তাঁকে স্কুলেও প্রবেশ বন্ধ করে দেয়নি কর্তৃপক্ষ।
স্কুলের সেই নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই শিক্ষক। মামলাটি ওঠে বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের এজলাসে। শিক্ষকের বক্তব্য ছিল, এই ভ্যাকসিন খ্রিস্টান ধর্মের বিশ্বাসকে আঘাত করে এবং কোনওভাবেই জোর করে একজন খ্রিস্টান ধর্মপ্রাণ মানুষকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া যায় না। তিনি আবেদন করেছিলেন যে স্কুলের নোটিশটি বাতিল করে আবার তাঁকে স্কুলে যেতে দেওয়া হোক এবং তাঁর বেতন সুদ সমেত ফেরত দেওয়া হোক। তবে সেই যুক্তি গ্রহণযোগ্য হয়নি কলকাতা হাইকোর্টের কাছে। বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য শিক্ষকের আবেদন খারিজ দেন।