বৃহস্পতিবার রাতের অন্ধকারে অগ্নি-৫ (Agni-5)-এর সফল উৎক্ষেপণ করেছে ভারত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানা গিয়েছে, পাঁচ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্বে সফলভাবে আঘাত হানতে পারে এই মিসাইল।অর্থাৎ গোটা এশিয়াকে ধ্বংস করে দিতে পারে অগ্নি-৫। ইন্টিগ্রেটেড গাইডেড মিসাইল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের অংশ হিসাবে অগ্নি মিসাইলের (Agni Missile) পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ শুরু হয়। এখনও পর্যন্ত প্রত্যেকটি অগ্নি মিসাইল সফলভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারের পর প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে একধাপ এগিয়ে গেল ভারত।
ঠিক কী কী ক্ষমতা রয়েছে অগ্নি-৫য়ের? প্রায় ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইলের (ICBM) মতো শক্তিশালী এই ক্ষেপণাস্ত্র। মিসাইল ছোঁড়ার পর ৫ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্বে পাড়ি দিতে পারে অগ্নি-৫। ভারতের মাটি থেকে হিসাব করলে কার্যত গোটা এশিয়াতেই এর প্রভাব পড়তে পারে। মহাদেশের সীমা পেরিয়ে ইউরোপ ও আফ্রিকার কিছু অংশেও আঘাত হানার ক্ষমতা রয়েছে অগ্নির।
উৎক্ষেপণের পর এক ঘণ্টায় প্রায় ৩০ হাজার কিলোমিটার গতিতে শূন্যে উড়তে পারবে এই মিসাইল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশেষ ধরণের প্রযুক্তি ব্যবহার করে অগ্নি-৫ বানানো হয়েছে। তুলনামূলক ভাবে এই ক্ষেপণাস্ত্রের ওজন অনেক কম। ওজনে হালকা হওয়ায় এই মিসাইল এক জায়গা থেকে সরিয়ে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে কোনও সমস্যা হবে না।
তাওয়াংয়ে ভারত-চিন সেনার সংঘর্ষের পরেই এই মিসাইল উৎক্ষেপণ করেছে ডিআরডিও। দুই দেশের উত্তপ্ত পরিস্থির মধ্যেই এই মিসাইল পরীক্ষার পরে আমজনতার প্রশ্ন, তাহলে কি এই ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে চিনকে ঘায়েল করা যাবে? প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই মিসাইলের আওতায় আসতে পারে রাজধানী বেজিং-সহ গোটা চিন। তবে চিনের অস্ত্রভাণ্ডারে ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল রয়েছে, যা ১২ হাজার কিলোমিটার দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম। ভারতীয় মিসাইলকেও সেইরকম শক্তিশালী ভাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের।
তবে এই ধরনের শক্তিশালী মিসাইল ব্যবহারে নিজস্ব নীতি মেনে চলে ভারত। কোনও পক্ষ ভারতের দিকে মিসাইল ছুঁড়লে তারপরেই পালটা আঘাত হিসাবে এই মিসাইল ছোঁড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। তবে নতুন অগ্নি-৫ মিসাইলের সঙ্গে ইতিমধ্যেই চিনা ক্ষেপণাস্ত্রের তুলনা শুরু হয়ে গিয়েছে। দুই দেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে ভারতীয় মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ।