শুক্রবার রাতে পেরেক যুক্ত লাঠিসোঁটা নিয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতের এলাকায় ঢোকার চেষ্টা করেছিল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির সেনারা। সেই পেরেকযুক্ত লাঠিগুলি নিয়েই ভারতীয় জওয়ানদের উপর চড়াও হয়েছিলেন তাঁরা। এর পরই উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে বলে সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে।
৯ ডিসেম্বর অর্থাৎ শুক্রবার গভীর রাতে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াঙে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর ভারতীয় ও চিনা সৈন্যদের মধ্যে এই সংঘর্ষ ঘটে। অভিযোগ, শুক্রবার গভীর রাতে হঠাৎ করে লাঠি হাতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেন প্রায় ৩০০ চিনা সেনা। পিটিআই জানিয়েছে, সে দেশের সেনারা ১৭ হাজার ফুট উচ্চ একটি চূড়ার শীর্ষে ওঠার চেষ্টা করে। একটি ভারতীয় সেনা পোস্টও উপড়ে ফেলার চেষ্টা করেন পিপলস লিবারেশন আর্মির সেনারা। কিন্তু ভারতীয় সেনারা তাঁদের বাধা দিলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে হয়। হাতাহাতি এবং লাঠি-পাথর নিয়ে সংঘর্ষে ভারতীয় সেনার ৬ জন জওয়ান আহত হন বলে সেনাসূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি। গুয়াহাটিতে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। এই ঘটনায় চিনা সেনাদেরও অনেকে আহত হন। চিনা পক্ষের আহত সৈন্যের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেও সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে।
তবে গালওয়ানের মতোই তাওয়াঙেও দ্বিপাক্ষিক সেনাস্তরের ‘রুল অব এনগেজমেন্ট’ মেনে কোনও পক্ষ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেনি।
কিছু সময় সংঘর্ষ চলার পর দ্বিপাক্ষিক ঊর্ধ্বতন সেনা স্তরের আলোচনায় মুখোমুখি অবস্থান থেকে ‘সেনা পিছনো’ (ডিসএনগেজমেন্ট)-র বিষয়ে ঐকমত্য হয়।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারী চিনা ফৌজকে ভারতীয় বাহিনী বাধা দেওয়ায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। সেই সংঘর্ষে মোট ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হন। বিভিন্ন পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী চিনা সেনার নিহতের সংখ্যা ছিল আরও বেশি। যদিও বেজিং-এর পক্ষ থেকে তা কখনও স্বীকার করা হয়নি।