আন্দোলনকারীরা লিখিত ভাবে কোনও দাবিপত্র দেননি। তাই এ নিয়ে আলোচনা এবং সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানালেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তৈরি করা একটি কমিটি। আন্দোলনকারীরা অবশ্য বিদ্যুতের পদত্যাগের দাবিতে অনড়। যদিও, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর পদত্যাগের দাবির উপর আলোচনা সম্ভব নয় বলে প্রাথমিক ভাবে জানিয়ে দিয়েছে ওই কমিটি।
টানা ২০ দিন ধরে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উপাচার্য বিদ্যুৎ স্বেচ্ছাচারিতা চালাচ্ছেন। এর প্রেক্ষিতে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন তাঁরা। ঘটনাচক্রে ওই সময়ে গৃহবন্দি উপাচার্যও। তার জেরে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে বিশ্বভারতীতে। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে সেই অচলাবস্থার দায় পড়ুয়াদের উপরেই ঠেললেন কর্তৃপক্ষ। ওই সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাতো, জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অধ্যাপক অমিত হাজরা-সহ বিশ্বভারতীর সমস্ত বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরা।
কর্তৃপক্ষের তরফে সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করা হয়েছে, বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীদের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত দাবিপত্র দেওয়া হয়নি। এর ফলে, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ছাত্রছাত্রীদের একাংশ উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেছেন। এ বিষয়েও আলোচনা সম্ভব নয় বলে জানানো হয়েছে সাংবাদিক বৈঠকে। পাশাপাশি, সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করা হয়েছে, পড়ুয়াদের অবস্থানের কারণে উপাচার্য গৃহবন্দি। আরও দাবি, দীর্ঘ দিন ধরে উপাচার্য বাড়িতে আটকে থাকার কারণে বিশ্বভারতীর প্রশাসনিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এর ফলে সমাবর্তন অনুষ্ঠান-সহ বিশ্বভারতীর নানা অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়ে উঠছে না বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে সাংবাদিক বৈঠক থেকে। উপাচার্য বাড়ি থেকে না বেরোতে পারলে বিশ্বভারতীর এই অচলাবস্থা কাটবে না বলে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে ওই সাংবাদিক বৈঠকে।
কমিটির বক্তব্য নিয়ে বিক্ষোভকারী ছাত্রদের অন্যতম সোমনাথ সৌ বলেন, ‘‘আমরা যেমন আন্দোলন চালাচ্ছি তেমনই আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমাদের একটাই দাবি, উপচার্য পদত্যাগ করুন। বিশ্বভারতী অনুষ্ঠান না করতে পারার দায় আমাদের ঘাড়ে চাপাচ্ছে। কিন্তু আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন করছি। তাতে কোনও কাজে কোনও বাধার সৃষ্টি হচ্ছে না।’’