পশ্চিমবঙ্গে ডেটা সেন্টার তৈরি করতে ২০০০ কোটি টাকা লগ্নি করবে এনটিটি ইন্ডিয়া। আগামী চার-পাঁচ বছরে রাজারহাটে রাজ্য সরকারের তৈরি ‘সিলিকন ভ্যালি’ প্রকল্পে তা গড়ে তোলা হবে।
তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিকম পরিষেবার সূত্রে দেশে বাড়ছে ডেটা সেন্টারের চাহিদা। এই তথ্য কেন্দ্রে বিভিন্ন সংস্থা নিজেদের চাহিদামতো জায়গা ভাড়া নিতে পারে। সেখানে জমিয়ে রাখতে পারে প্রয়োজনীয় ডেটা বা তথ্য। দরকার মতো ব্যবহার করতে পারে সংস্থার কাজে। এতে তাদের নিজেদের জায়গা নিতে হয় না, লাগে না পরিকাঠামো গড়া ও সংরক্ষণের খরচও। ইতিমধ্যেই রাজারহাটের প্রকল্পে বিভিন্ন প্রযুক্তি এবং টেলি সংস্থা ডেটা সেন্টার গড়ার জমি নিয়েছে।
সম্প্রতি এবিপি গোষ্ঠী আয়োজিত ইনফোকমের ফাঁকে এনটিটি ইন্ডিয়ার এমডি শরদ সাঙ্ঘি জানান, সিলিকন ভ্যালিতে পর্যায়ক্রমে তিনটি ভবনের তথ্য কেন্দ্র তৈরির জন্য ডেটা সেন্ডার পার্ক গড়তে ৭.৫ একর জায়গা নিয়েছেন তাঁরা। গত মাসে জমি সংক্রান্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। বাদবাকি অনুমোদনও মিলবে বলে আশা। সে ক্ষেত্রে ১২-১৫ মাসের মধ্যে প্রথম ভবনটি চালু হতে পারে। তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে ৩০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ডেটা সেন্টার গড়তে প্রায় ১০০০ কোটি টাকা ঢালছেন তাঁরা। সার্বিক ভাবে ডেটা সেন্টার পার্কের ক্ষমতা হবে ১০০ মেগাওয়াট। সব মিলিয়ে লগ্নি হবে ২০০০ কোটিরও বেশি। প্রসঙ্গত, বিপুল তথ্য মজুত ও সুরক্ষিত রাখতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ-সহ সার্বিক ব্যবস্থায় সুষ্ঠু বিদ্যুৎ পরিষেবা জরুরি। সেই চাহিদার ভিত্তিতেই ডেটা সেন্টারের ক্ষমতা মাপা হয়।
রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের কর্তারা জানান, আগামী তিন-চার বছরে দেশের ডেটা সেন্টারের মোট উৎপাদন ক্ষমতার ২৫% এ রাজ্যে স্থাপন করাই তাঁদের লক্ষ্য। এখন যা মাত্র ১%। যে কারণে সিলিকন ভ্যালি প্রকল্পের মোট ২৫০ একর জায়গার মধ্যে অর্ধেকেই বরাদ্দ হয়েছে ডেটা সেন্টারের জন্য।