কাতার বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে নামার আগে কোচ বনাম ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো চলছে পর্তুগাল দলে। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে রোনাল্ডোকে খেলা শেষ হওয়ার আগেই তুলে নিয়েছিলেন কোচ ফের্নান্দো স্যান্টোস। এর পর থেকেই রোনাল্ডো এবং তাঁর মধ্যে একটা ঠান্ডা যুদ্ধ চলছে। স্যান্টোস জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ম্যাচে নামার আগে অধিনায়ক বাছবেন। অর্থাৎ রোনাল্ডো অধিনায়ক নাও হতে পারেন।
গ্রুপের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে হেরে যায় পর্তুগাল। সেই ম্যাচে রোনাল্ডোকে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন কোচ। সেই সময় ৩৭ বছরের রোনাল্ডো যে অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন, তা ভাল ভাবে নেননি স্যান্টোস। সেই ম্যাচে মাঠ থেকে বেরনোর সময় মুখে আঙুল দেখান রোনাল্ডো। তিনি যদিও বলেন যে, কোচকে ইঙ্গিত করে কিছু বোঝাতে চাননি তিনি। রোনাল্ডো বলেন, “আমি যখন মাঠ থেকে বেরচ্ছিলাম, তখন দক্ষিণ কোরিয়ার এক ফুটবলার আমাকে মাঠ থেকে তাড়াতাড়ি বেরোতে বলে। আমি ওকে চুপ করতে বলি। ওর কোনও অধিকার নেই এটা বলার। কোচের সঙ্গে কোনও ব্যাপার নেই এটার।”
কিন্তু কোচ বলেন, “আমার ভাল লাগেনি ওটা। কিন্তু ব্যাপারটা ওখানেই শেষ।” যদিও সুইৎজ়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে কোন দল নামবে বা কে অধিনায়ক হবেন তা পরিষ্কার করে বলেননি স্যান্টোস। তিনি বলেন, “আমি ম্যাচে নামার আগের মুহূর্ত অধিনায়ক ঠিক করি। কারা খেলবে তা এখনও জানি না। আমি এটাই করি। সেটাই করব।”
রোনাল্ডোর সঙ্গে এর আগে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের কোচ এরিক টেন হ্যাগের সম্পর্ক নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। পর্তুগিজ তারকা নিজেই জানিয়েছিলেন যে, তাঁর সঙ্গে টেন হ্যাগের সম্পর্ক ভাল নয়। ম্যাঞ্চেস্টার সম্পর্কেও তিনি এমন কথা বলেন যে, শেষ পর্যন্ত দল থেকেই ছেঁটে ফেলা হয় তাঁকে। বিশ্বকাপের মাঝেই দলহীন রোনাল্ডো। তাঁকে নেওয়ার জন্য সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসের বিশাল অঙ্কের প্রতাব দিতে পারে বলে শোনা গিয়েছে। যদিও বিশ্বকাপের পরেই নতুন ক্লাব নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন রোনাল্ডো।