কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে ব্রাজিল। সোমবার রাতে দক্ষিণ কোরিয়াকে চার গোল দেন নেমাররা। স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ সেই জয়ের পর পেলের ছবি এবং নাম লেখা ব্যানার হাতে দাঁড়ালেন ব্রাজিলের ফুটবলাররা।
৮২ বছরের পেলে হাসপাতালে ভর্তি। কেমোথেরাপি কাজ করছে না। বেশ কিছু দিন ধরেই তাঁর শারীরিক অবস্থার নানা খবর সামনে আসছে। যদিও পেলে নিজে জানিয়েছেন যে, তিনি হাসপাতাল থেকেই খেলা দেখবেন। পেলে যেমন নেমারদের কথা ভোলেননি। নেমাররাও তেমন পেলের কথা ভোলেননি। সোমবার দক্ষিণ কোরিয়াকে ৪-১ গোলে হারানোর পেলের ছবি এবং নাম লেখা ব্যানার হাতে নিয়ে ছবি তোলেন তাঁরা। গ্যালারিতেও ছিল পেলের পোস্টার, ব্যানার। সেখানে পেলের সুস্থতা কামনা করে ব্যানার দেখা গেল।
সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে ব্রাজিল খেলতে নামার আগেই টুইট করেন পেলে। সঙ্গে দেন ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপের একটি ছবি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সতীর্থের সঙ্গে রাস্তায় হাঁটছেন তিনি। ক্যাপশনে পেলে লিখেছিলেন, ‘‘১৯৫৮ সালে আমি রাস্তায় হাঁটার সময় ভাবতাম কী ভাবে বাবাকে দেওয়া কথা রাখব। আমি জানি, তোমাদের মধ্যেও অনেকে নিজেদের বাবাকে দেওয়া কথা রাখতে চাও। কথা রেখ।’’ এখানেই থেমে থাকেননি পেলে। তিনি আরও লিখেছিলেন, ‘‘আমি হাসপাতালে শুয়ে তোমাদের জন্য গলা ফাটাব। শুভেচ্ছা রইল।’’
সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, পেলের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। ফুসফুসের সংক্রমণের চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন ৮২ বছরের ফুটবলার। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে পেলের শারীরিক পরিস্থিতির কোনও অবনতি হয়নি। তাঁর মেয়ে ফ্লাবিয়া অস্বীকার করলেও হাসপাতালের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছিল, পেলেকে রাখা হয়েছে ‘প্যালিয়াটিভ কেয়ার’-এ।