ছাত্র সংসদ ভোটের দাবিতে রাতভর ঘেরাও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। কলেজের অধ্যক্ষ এবং বিভাগীয় প্রধানদের আটক করে রেখেছেন কলেজের ছাত্রছাত্রীরা। বিক্ষোভে অনড় আন্দোলনকারীরা। পাল্টা বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন হাসপাতালের নার্সরাও। নার্সিং সুপারকে ছাড়ার দাবিতে অধ্যক্ষের ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন হাসপাতালে কর্মরত নার্সরা।
বিক্ষোভস্থলে উপস্থিত এক জন নার্স বলেন, ‘‘আমাদের ম্যাডামকে ছেড়ে দিন। আমাদের আর কোনও বক্তব্য নেই।’’ নার্সিং সুপারকে আটকে রাখার ফলে পরিষেবা বিঘ্নিত হতে পারে কি না, তা নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে নার্সদের তরফে জানানো হয়, হাসপাতালের ভিতরে এক জন করে নার্স রেখে এসেছেন তাঁরা। বিক্ষোভস্থলে উপস্থিত নার্সরা জানান, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে নার্সিং সুপারের কোনও ভূমিকা নেই। অন্য দিকে, সোমবার রাতে বহিরাগতরা এসে কলেজের ভিতর ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন বলে অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের।
কিছু রোগীর পরিবারকেও সুপারের ঘরের সামনে হাজির হতে দেখা গিয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষানিরীক্ষা করানোর জন্য কিছু কাগজপত্রে সুপারের সই লাগবে বলে সেগুলি নিয়ে সুপারের ঘরের সামনে অপেক্ষা করছিলেন তাঁরা। বিক্ষোভ প্রদর্শনে শামিল হয়েছেন হাসপাতালের ইন্টার্নরাও। ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক বিক্ষোভকারী জানিয়েছেন, যাঁদের ডিউটি নেই, তাঁরাই বিক্ষোভে শামিল হচ্ছেন। পরিষেবার কোনও গাফিলতি হচ্ছে না বলেই দাবি করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুর ৩টে নাগাদ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সামনে ছাত্র সংসদ ভোট নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন ছাত্রছাত্রীরা। রাতভর বিক্ষোভ চালিয়েছেন তাঁরা। ২০১৬ সালের পর আর ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। বহু দিন ধরেই ভোট নির্বাচনের দাবি নিয়ে বিক্ষোভ চলছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। কলেজের তরফে জানানো হয়েছিল, ২২ ডিসেম্বরে ভোট নির্বাচন সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে। কোনও কারণে তা পিছিয়ে যায়। পরে এই প্রসঙ্গে আর কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় আবার সোমবার দুপুর থেকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ছাত্রছাত্রীরা।