কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকেই বিজেপির শীর্ষ থেকে রাজ্য নেতৃত্বের দরবার থেকে উড়ে এসেছে নানা মন্তব্য। বর্ষীয়ান নেতাদের থেকে এইরকম মন্তব্য সমালোচিত হয়েছে অনেক মহলেই। এবার সেই সুরেই সুর মেলালেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র সায়ন্তন বসুও।
বাঁকুড়ায় এক জনসভায় উপস্থিত হয়ে তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা উঠিয়ে দেওয়ার ফলে দেশের যে কেউ এখন ওখানে জমি কিনতে পারবেন, থাকতে পারবেন এমনকি ভোটও দিতে পারবেন।” শনিবার কোতুলপুরে দলের এক রক্তদান শিবিরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। তিনি তাঁর বক্তব্যে আরও যোগ করেন, “আপনি এই কোতুলপুরে যে যে অধিকার ভোগ করছেন, ওখানেও সেই সুযোগ পাবেন।”
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই মুহূর্তে বহুচর্চিত এনআরসি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ থেকে অত্যাচিরত হয়ে এদেশে আসা কোন হিন্দু ঐ দেশে ফিরে যাবেন না। তাঁরা এই রাজ্যেই থাকবেন। দরকার পড়লে নাগরীকত্ব সংশোধনী বিল সংসদে পেশ করা হবে। এই কাজে সব দলের সাহায্য চাওয়া হবে। যারা সাহায্য করবে না তাদের বিরুদ্ধে আমরা প্রচার চালাবো।”
এনআরসি ইস্যুতে তিনি বলেন, “গত লোকসভায় নাগরীত্ব সংশোধনী বিল লোকসভায় পাশ হলেও সংখ্যাগরিষ্টতা না থাকায় রাজ্য সভায় পাশ করানো যায়নি। সেই মুহূর্তে তৃণমূল-সিপিএম বাধা দিয়েছিল। এবার লোকসভা ও রাজ্যসভা দু’জায়গাতেই ঐ বিল পাশ হবে।”
সায়ন্তন বসু রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘হিম্মত থাকলে’ এবার মমতা ব্যানার্জ্জী এই বিল আটকান বলে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন তিনি। এদিনের রক্তদান শিবিরে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, দলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক সভাপতি স্বপন ঘোষ প্রমুখ।