বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচের শেষ দিনে দেখা গেল চূড়ান্ত উত্তেজনা। গ্রুপ এইচ-এর শেষ রাউন্ডের ম্যাচে উরুগুয়ে ২-০ গোলে হারিয়ে দিল ঘানাকে। তাতেও শেষ ষোলোয় যাওয়া হল না। অন্য ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়া ২-১ গোলে পর্তুগালকে হারিয়ে দেওয়ায় গ্রুপ থেকে বিদায় নিল উরুগুয়ে। লাতিন আমেরিকার এই দেশের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার পয়েন্ট এবং গোলপার্থক্য সমান হওয়া সত্ত্বেও প্রি-কোয়ার্টারে গেল এশিয়ার দেশটি। কেন এমন হল?
তৃতীয় ম্যাচে খেলতে নামার আগে দক্ষিণ কোরিয়া এবং উরুগুয়ে দু’দলেরই পয়েন্ট ছিল ১। কিন্তু গোলপার্থক্যে তৃতীয় স্থানে ছিল দক্ষিণ কোরিয়া। পর্তুগালকে হারানোর পরে দক্ষিণ কোরিয়ার চার পয়েন্ট হয়। উরুগুয়েরও হয় চার পয়েন্ট। গোলপার্থক্যও সমান হয়ে যায়। তা হলে কোন নিয়মে উরুগুয়েকে টপকে শেষ ষোলোয় চলে গেল দক্ষিণ কোরিয়া?
এর নেপথ্যে রয়েছে বিশ্বকাপের নিয়ম। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, গ্রুপ পর্বের ম্যাচে দু’টি দল সমান পয়েন্টে শেষ করলে পরের পর্বে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম গোলপার্থক্য বিচার করা হবে। সেটি সমান থাকলে দেখা হবে কোন দল বেশি গোল করেছে। এই দ্বিতীয় নিয়মটিতেই উরুগুয়েকে টেক্কা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। তারা গ্রুপ পর্বে দিয়েছে চারটি গোল। খেয়েছেও চারটি। অন্য দিকে উরুগুয়েও দু’টি গোল দিয়ে হজম করেছে সমসংখ্যক গোল। অর্থাৎ উরুগুয়ের থেকে দু’টি গোল বেশি দেওয়ার সুবাদে শেষ ষোলোয় গিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।