অভিষেকের তালুকে শুভেন্দুর সভায় ৪০ হাজার লোক জমায়েতের লক্ষ্য নিয়েছে বিজেপি

কাঁথিতে অভিষেকের সভার দিনই কুলপির দেরিয়া এলাকার একটি মাঠে শুভেন্দুর জনসভার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু মঞ্চ তৈরির প্রস্তুতির মধ্যে শুরু হয় ঝামেলা। বিজেপির অভিযোগ, তাদের বাধা দেয় তৃণমূল।
২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর তালুকে সভা করতে দেখা যাবে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেখানে তৃণমূলের লক্ষ্য অন্তত এক লাখ লোক জড়়ো করার। ঠিক একই দিনে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেকের নির্বাচনী এলাকায় সভা করবেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু। শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের ছাড়পত্র পেয়ে মঞ্চ তৈরির তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। বিজেপি জানাচ্ছে, তাদের লক্ষ্য ৪০ হাজার মানুষ জড়ো করা। তবে তাদের অভিযোগ, শাসকদলের তরফে ভয় দেখানো হচ্ছে সাধারণ বিজেপি কর্মী এবং সমর্থকদের।

কাঁথিতে অভিষেকের সভার দিনই দক্ষিণ ২৪ পরগনায় কুলপির দেরিয়ায় এলাকার একটি মাঠে শুভেন্দুর জনসভার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু মঞ্চ তৈরির প্রস্তুতির মধ্যে শুরু হয় ঝামেলা। বিজেপির অভিযোগ, মঞ্চ তৈরি করতে যেতেই বাধা দেয় তৃণমূল। অন্য দিকে, শাসক দলের দাবি, ওই স্থানে আগে থেকেই সভা করার অনুমতি নিয়েছে তারা। বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত হাই কোর্ট জানিয়েছে, ডায়মন্ড হারবারের লাইট হাউসের মাঠে সভা করতে পারবেন শুভেন্দু। একই সঙ্গে সভার ফলে সাধারণ মানুষের অসুবিধা যাতে না হয়, শব্দবিধি মেনে সভা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার পরেই মঞ্চ তৈরির তোড়জোড় শুরু করেছে বিজেপি।
বিজেপির দাবি, শাসক শিবিরের চোখরাঙানি উপেক্ষা করে সভায় জড়ো হবেন ৬টি বিধানসভা এলাকার মানুষ। স্বতঃস্ফূর্ত জনজোয়ারকে কিছুতেই ঠেকানো যাবে না বলে মন্তব্য করেন ডায়মন্ডহারবারে বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি সুফল ঘাঁটু। তিনি বলেন, ‘‘শুভেন্দুর সভা শুনে প্রথম থেকেই তাতে বাধা দিয়েছে শাসক দল। তাদের ইন্ধনে পুলিশ প্রশাসন জায়গা দিচ্ছিল না। তার পরেও আমরা জায়গা পেয়েছি। আইনি লড়াইয়ের পর হাই কোর্টের নির্দেশে লাইট হাউসের মাঠে সভা করতে পারছি।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘শনিবার ফলতা, বজবজ, মহেশতলা, সাতগাছিয়া, মেটিয়াব্রুজ-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আমাদের সভায় আসবেন মানুষ। এ ছাড়া মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিভিন্ন অংশ থেকেও লাইট হাউসের মাঠে জড়ো হবেন আমাদের কর্মী-সমর্থকেরা।’’
ওই বিজেপি নেতার অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল ভয় দেখাচ্ছে মানুষকে। সভায় যাতে না আসেন, তার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তবে সে সব অগ্রাহ্য করেই তাঁরা আসবেন বলে আমাদের বিশ্বাস।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.