বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সরকার সিঙ্গুরে প্রত্যেক জমিদাতাদের বিঘা প্রতি ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা দাম দিতে চেয়েছিল। সময়টা ছিল ২০০৬ সাল। বর্তমানে, যে প্রশ্নগুলি সব থেকে বড় হয়ে দেখা দিয়েছে তা হলো, না শিল্প না কৃষি…।
সিঙ্গুর কি পেলো? বামপন্থীরা প্রশ্ন, যে সিঙ্গুরের জমিকে রক্ষা করার দোহাই দিয়ে তিনি ক্ষমতায় এসেছিলেন, সেখান তার সরকার কী সদর্থক ভূমিকা নিয়েছে? যে জমি চাষিরা ফেরত পেয়েছেন, সেখানে কি আদৌ ভালো চাষ হতে পেরেছে। সেখানে কি আগামী দিনে কোনও শিল্প হওয়া সম্ভব?
অধ্যাপক ইন্দ্রনীল দাশগুপ্ত লিখেছেন, অবসরপ্রাপ্ত আমলারা, অর্থনীতিবিদ থেকে সমাজকর্মীরা সিঙ্গুরে নানো প্রকল্প এবং সরকারি ক্ষতিপূরণ প্যাকেজের বিরুদ্ধে লেখালেখি শুরু করেছিলেন। তাঁদের কেউ কেউ রাজ্যসভা সাংসদ, বিধায়ক বা মন্ত্রী হয়েছেন।
কয়েকজন অর্থনীতিবিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধ্যক্ষ বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হয়েছেন। সিঙ্গুরের চাষীরা কি পেয়েছে? শিল্প না কৃষি?
আজ প্রায় ১৩ বছর পর যখন দ্রব্যমূল্য ১৫০ শতাংশ বেড়েছে, সিঙ্গুরে জমির দাম বিঘা প্রতি ২-৩ লক্ষ। প্রশ্ন উঠেছে, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য কি খুব কম দাম দিয়ে জমি কিনতে চেয়েছিলেন। সিঙ্গুর গাড়িও বেরোয় নি। ফসলও উৎপাদন হলো না। যে যুবকরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন, তাঁরা ভিনরাজ্যে চাকরি খুঁজেছেন। তাঁদের মধ্যেও যারা বাড়ি ছাড়তে পারেন নি, তারা মধ্য বয়সে এসে পৌঁছেছে। সামনে কোনো অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নেই।
দেবময় ঘোষ