ছেড়া জীর্ণ পোশাক, দাঁতে কালো ছোপ, ছোট করে কাটা চুল। খুনের অভিযোগ, সংলাপ নেই। পরিচয় কয়েদি নম্বর ১৪৫। গত ২৫০ বছর ধরে কারাগারে বন্দি। এ ভাবেই একটা গোটা সিরিজ়ে দেখা গিয়েছিল দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীকে। গল্পে জল্পনা ছিল, তাঁর চরিত্রটি নাকি মীরজাফরের খুনি, কিন্তু কে এই মীরজাফর? ২৫০ বছর ধরে জেলবন্দি হয়ে থাকা আসামি কি বাস্তবে সত্যি না কি পুরোটাই কাল্পনিক? টান টান রহস্য নিয়েই শেষ হয়েছিল ‘কারাগার’ সিরিজের প্রথম সিজন। এ বার আসতে চলেছে এই সিরিজের দ্বিতীয় ভাগ। সেখানেই রয়েছে বিরাট চমক। একেবারে ৩৬০ ডিগ্রি ভোলবদল হবে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর। ‘কারাগার’ সিজন ২ এর ট্রেলার প্রথমেই দেখে নিন আনন্দবাজার অনলাইনে।
চলতি বছরের ১৯ অগস্ট মুক্তি পেয়েছিল ‘কারাগার’ সিরিজের সিজন ১। ৫০১ নম্বর কক্ষটি গত ৫০ বছর ধরে তালাবন্ধ। সেখানেই আচমকা আবির্ভাব রহস্যময় ব্যক্তির। কিন্তু কে সেই ব্যক্তি, সেই সন্ধান চলেছে গোটা সিজন ধরে। উত্তরটা অধরাই ছিল। এ বার সেই জট ছাড়িয়ে একটা একটা সূত্র মিলবে দ্বিতীয় সিজনে। কয়েদি নম্বর ১৪৫ ই এখানে লেখক ডেভিড অ্যাডমস।
প্রথম সিজনের সেই আসামির সঙ্গে তার কোনও মিলই নেই। পরনে কেতাদুরস্ত শার্ট, চোখে চশমা, চুলে ছোট পনিটেল। এ ভাবেই দেখা যাবে চঞ্চল চৌধুরীকে। ১৯৭১ সালটা যে বাংলাদেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ তা বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখে না। ডেভিড মুক্তিযুদ্ধের সময়কার লেখক। কিন্তু তা হলে আড়াইশো বছরের হিসেব যে মিলছে না। এই লেখকই যদি সেই বন্দি হন, তা হলে কারাগার পর্যন্ত সে পৌঁছল কী ভাবে? যে মীরজাফরের কথা ইশারায় বোঝানো হয়েছিল প্রথম সিজনে সেই বিশ্বাসঘাতকই বা কে? সেই সব প্রশ্নের উত্তর দেবে ‘কারাগার’ ২। তবে এক কথায়, বলা যেতেই পারে এই গল্প প্রতিশোধের। এই সিজনের গল্প যে আরও জমে উঠবে, তার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন অভিনেতা আনন্দবাজার অনলাইনকে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর হইচই-তে মুক্তি এই সিরিজের দ্বিতীয় সিজনের। ততদিন পর্যন্ত রহস্য রয়েই যাচ্ছে।