ডিএলএডের পরীক্ষা শুরু হয় গত সোমবার। এডুকেশনাল স্টাডিজের পরীক্ষা ছিল সেদিন। অভিযোগ ওঠে, সোমবার পরীক্ষা শুরুর সোয়া একঘণ্টা আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায়। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এবার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিল নবান্ন। এর আগে প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব খাড়া করেছিলেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। তিনি বলেনছিলেন, ‘পর্ষদের ও সরকারের সম্মানহানির চেষ্টা করা হচ্ছে। এই অভিযোগকে পর্ষদ হালকা ভাবে নিচ্ছে না। ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এই আবহে এবার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দেওয়া হল। যদিও পর্ষদ সূত্রে জানানো হয়েছে, সিআইডি তদন্তের বিষয়টি নিয়ে তারা অবগত নন।
উল্লেখ্য, সোমবার দুপুর ১২টায় ডিএলএড কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয়। দুপুর ২টো পর্যন্ত পরীক্ষা চলে। অভিযোগ ওঠে, পরীক্ষা শুরুর আগেই সোমবার সকাল ১০টা ৪৭ নাগাদ হোয়াটসঅ্যাপে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ে। পরীক্ষাকেন্দ্রে পড়ুয়াদের যে প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়, তার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে ভাইরাল হওয়া প্রশ্নপত্র মিল রয়েছে। প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে তদন্তের জন্য পর্ষদ সাইবার সেলে অভিযোগ দায়ের করেছে।
এদিকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠতেই সতর্ক হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষআ পর্ষদ। তালাবন্ধ ট্রাঙ্কে করে গতকাল প্রশ্নপত্র এসেছে সেন্টারে। এরই মাঝে এবার আরও কড়াকড়ি শুরু করল পর্ষদ। মঙ্গলে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে পর্ষদ জানিয়ে দেয়, সেন্টার ইনচার্জরা সকাল সাড়ে ১১টার আগে প্রশ্নপত্র হাতে পাবেন না। এদিকে সোমবারের পর মঙ্গলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু প্রশ্নপত্রের ছবি ভাইরাল হয়েছিল। যদিও পর্ষদ দাবি করে, সেই ছবির প্রশ্নপত্রগুলি আসল নয়। তবে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে কোনও খামতি রাখতে চাইছে না পর্ষদ। এই আবহে প্রশ্ন উঠেছে, পরীক্ষা বাতিল হবে? আর পরীক্ষা বাতিল না হলে এই পরীক্ষাকে কি আদৌ স্বচ্ছ বলে মেনে নেওয়া যায়?