গোটা ম্যাচ দুলল পেন্ডুলামের মতো। প্রথমে এগোল ক্যামেরুন। সেই গোল শোধ করে দু’গোলে এগিয়ে গেল সার্বিয়া। পিছিয়ে থেকেও খেলায় সমতা ফেরাল ক্যামেরুন। শেষ পর্যন্ত ড্র হল ম্যাচ। এই ড্রয়ের ফলে গ্রুপ জি থেকে শেষ ষোলোয় যাওয়ার রাস্তা আরও সহজ হল ব্রাজিলের।
খেলার শুরু থেকে আক্রমণের ঝাঁঝ বেশি ছিল ক্যামেরুনের। দু’প্রান্ত ব্যবহার করে আক্রমণে উঠছিল তারা। ক্যামেরুনের ফুটবলারদের গতির কাছে সমস্যায় পড়ছিলেন সার্বিয়ার ফুটবলাররা। আক্রমণের ফল পায় ক্যামেরুন। ২৯ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল তুলে নেয় তারা। কর্নার থেকে কুন্ডের ক্রস ধরে ডান পায়ের টোকায় বল জালে জড়িয়ে দেন জিন চার্লস ক্যাসেলেটো। জাতীয় দলের হয়ে তাঁর প্রথম গোল এল বিশ্বকাপের মঞ্চে।
গোল খাওয়ার পরে তা শোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে সার্বিয়া। মিত্রোভিচের নেতৃত্বে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় তারা। ৩৯ মিনিটের মাথায় সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে সমতা ফেরাতে পারত সার্বিয়া। যদিও প্রথম গোল পেতে বেশি ক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি তাদের। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে ফ্রিকিক থেকে দুরন্ত হেডে গোল করে সমতা ফেরান পাভলোভিচ। দু’মিনিট পরেই এগিয়ে যায় সার্বিয়া। এ বার ক্যামেরুনের রক্ষণের ভুলকে কাজে লাগায় তারা। বক্সের বাইরে থেকে মিলিঙ্কোভিচ-স্যাভিচের শট ক্যামেরুনের গোলরক্ষককে পরাস্ত করে জালে জড়িয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকে বেশি আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করে সার্বিয়া। ক্যামেরুন কিছুটা চাপে পড়ে যায়। ৫৯ মিনিটের মাথায় দলের তৃতীয় গোল করেন মিত্রোভিচ। দু’গোলে পিছিয়ে থাকার পরে একসঙ্গে তিনটি পরিবর্তন করেন ক্যামেরুনের কোচ। তাতে খেলার ছবিটা বদলে যায়। ৬৩ ও ৬৬ মিনিটে জোড়া গোল করে ম্যাচে ফেরে ক্যামেরুন। প্রথমে গোল করেন ভিনসেন্ট আবুবাকার। তার পরে সার্বিয়ার রক্ষণকে বোকা বানিয়ে গোল করেন এরিক মোটিং। খেলার ফল ৩-৩ হয়ে যায়।
শেষ দিকে গোল করার অনেক চেষ্টা করে সার্বিয়া। বার বার ক্যামেরুনের বক্সে ঢোকেন মিত্রোভিচরা। কিন্তু গোল করতে পারেননি। ৩-৩ ফলে শেষ হয় খেলা।
এই ম্যাচ ড্র হওয়ায় খেলতে নামার আগে অনেকটা সুবিধা হয়ে গেল ব্রাজিলের। ২ ম্যাচে সার্বিয়ার পয়েন্ট ১। সম সংখ্যক ম্যাচে ক্যামেরুনের পয়েন্টও ১। অর্থাৎ, ব্রাজিল পরের ম্যাচে সুইৎজারল্যান্ডকে হারাতে পারলেই বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় পৌঁছে যাবেন নেমাররা।