ইকুয়েডরের কাছে আটকে গেল নেদারল্যান্ডস। গোলের একাধিক সহজ নষ্ট করলেন নেদারল্যান্ডস ফুটবলাররা। সে জন্য অবশ্য ইকুয়েডরের কৃতিত্বকে খাটো করে দেখা যাবে না। তুলনায় কম শক্তিশালী হলেও সমানে সমানে পাল্লা দিলেন তাঁরাও। দু’দলের লড়াই শেষ হল ১-১ গোলে।
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ জিতে শুক্রবার মুখোমুখি হয়েছিল দু’দল। উভয় পক্ষই ছিল সমান আত্মবিশ্বাসী। দাপট নেদারল্যান্ডসের কিছুটা বেশি থাকলেও পিছিয়ে ছিল না ইকুয়েডরও। দ্রুতগতির ম্যাচ জমে উঠল আক্রমণ, প্রতি আক্রমণে। ছোট ছোট পাশে আক্রমণ গড়ে তুলল দু’দলই। লড়াই হল মূল মাঝ মাঠের দখল নিয়ে।
শুরুটা আগ্রাসী মেজাজে করেছিলেন নেদারল্যান্ডসের ফুটলাররা। খলিফা স্টেডিয়ামে প্রথম ৩০ মিনিটের গেরুয়া ঝড়ে কিছুটা রক্ষণাত্মক দেখালেও হাল ছেড়ে দেয়নি ইকুয়েডর। শুরুতেই এগিয়ে যায় ডাচরা। ম্যাচে ৬ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে দূর পাল্লার শটে অনবদ্য গোল করেন কডি গাকপো। এগিয়ে যাওয়ার পর প্রতিপক্ষের বক্সে আরও চাপ বাড়ায় নেদারল্যান্ডস। এক সঙ্গে ছ’সাত জন উঠে আসছিলেন আক্রমণে। এ সময় রক্ষণ আগলানোর পাশাপাশি মূলত প্রতি আক্রমণের উপর নির্ভর করছিল ইকুয়েডরের আক্রমণ। প্রথমার্ধের শেষ হওয়ার এক মিনিট আগে তেমনই এক প্রতি আক্রমণ থেকে গোল করে ইকুয়েডর। কিন্তু অফ সাইডের জন্য বাতিল হয়ে যায় স্টুপিনানের করা গোল। ৩৩ মিনিটেও অফ সাইডের জন্য তাঁর প্রচেষ্টা কাজে আসেনি। নেদারল্যান্ডসের রক্ষণকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করছিলেন ইকুয়েডরের এই স্ট্রাইকার। বেশ কয়েক বার বিপজ্জনক হয়ে ওঠেন তিনি।
প্রথমার্ধ নেদারল্যান্ডস ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে শেষ করলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতা ফেরায় ইকুয়েডর। খেলার ৪৯ মিনিটে তাদের পক্ষে গোল করেন ভ্যালেন্সিয়া। এর পর কোনও দলই আর গোল করতে পারল না। যদিও নেদারল্যান্ডসের একটি শট বারে লেগে ফিরে আসে। সেটি গোল হলে অন্যরকম হতে পারত। বিপক্ষের গোলের কাছাকাছি নেদারল্যান্ডসের স্টারাইকার কয়েক বার পৌঁছে গেলেও ফিনিশ করতে পারেননি। গোল করার একাধিক সম্ভাবনা তৈরি করলেও কাজে লাগাতে পারেনি ইকুয়েডরও।
নেদারল্যান্ডস-ইকুয়েডর ম্যাচ ১-১ ব্যবধানে শেষ হওয়ায় দু’দলেরই দু’টি ম্যাচ খেলে সংগ্রহ ৪ পয়েন্ট। বিশ্বকাপের পরের পর্বে যেতে গ্রুপের শেষ ম্যাচ জিততে হবে দু’দলকেই। আগামী ২৯ নভেম্বর নেদারল্যান্ডসের প্রতিপক্ষ আয়োজক কাতার। বিশ্বকাপের আয়োজকদের কাছে সেই ম্যাচ শুধুই নিয়মরক্ষার। অন্য ম্যাচে সেনেগালের মুখোমুখি হবে ইকুয়েডর।