জঙ্গি কার্যকলাপের দ্বারা প্রভাবিত মেঙ্গালুরু বিস্ফোরণকাণ্ডে অভিযুক্ত শরিক মন্দির ধ্বংস করতে চেয়েছিল

পুলিশ মেঙ্গালুরুতে বিস্ফোরণের পরেই বলেছিল এর পিছনে নাশকতার হাত রয়েছে। ঠিক সেটাই হয়েছে, কিন্তু কারা এর মাস্টার মাইন্ড তা ঠিক বোঝা যাচ্ছিল না। ইসলামিক রেসিসটেন্স কাউন্সিল এর দায় নিয়েছে। এরা একটি ছোট দল, যাদের কথা মাঝে মাঝে শোনা যায়। তারাই দায় নিয়েছে এই ঘটনার।তাদের এক সদস্য বলেছে যে, আমাদের মুজাহিদ ভাই মহম্মদ শারিক কাদরির এক হিন্দু মন্দিরে হামলার চেষ্টা করেছিল। তবে পুলিশের শীর্ষ স্থানীয় অফিসাররা এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। পুলিশ বলছে এই ঘটনার একদম গোরার কথা জানতে চেষ্টা করছেন তাঁরা। কে রয়েছে এর মূলে। কি তার উদ্দেশ্য। কারা মদত দিচ্ছে, কোথা থেকেই বা সেই মদত এবং অর্থ আসছে সব জানতে চাইছে পুলিশ।সোশ্যাল মাধ্যম এই মুহূর্তে যে বার্তা ঘুরে বেড়াচ্ছে তাতে বলা হচ্ছে, “আমরা ইসলামিক রেসিসটেন্স কাউন্সিল। আমরা একটা কথা এবং বার্তা দিতে চাই। আমাদের অন্যতম মুজাহিদ ভাই মহম্মদ শারিক দক্ষিণ কন্নড় জেলার একটি হিন্দু মন্দিরে হামলা করতে চেয়েছিল, আসলে মেঙ্গালুরু গেরুয়া সন্ত্রাসের আখরা হয়ে উঠেছে। এর উত্তর দিতেই হত। আর তাই আমাদের এই বার্তা।”

তারা আরও বলেছে যে, “যদিও আমাদের এই অপারেশনের টার্গেট সম্পূর্ণ হয়নি। তবে এটা যে আমাদের বার্তা পৌঁছে দেবার রাস্তা করে দিয়েছে তার জন্য আমরা অত্যন্ত খুশি এবং এটাতেই আমাদের জয় বলে মনে করছি। পাশাপাশি এটাও ঘটনা যে আমাদের ভাই কৌশলগত দিক থেকে একদম ঠিক ছিল। রাজ্য বো কেন্দ্রের নজর ছিল চারিদিকে। সবকিছুকে এড়িয়ে গিয়ে কাজটা সে করেছে। একটুর জন্য তা সম্পূর্ণ হয়নি। এতটাই আমাদের জয়।”

১৯ নভেম্বর মহম্মদ শারিক যে মূল অভিযুক্ত সে অটোতে করে যাচ্ছিল তার হাতে ছিল প্রেসার কুকার। সেটাই ফেটে যায়। সে এবং ড্রাইভার দুজনেই আহত হয়। পুলিশ তখনই বলেছিল এটি নাশকতামূলক কাজ। সেই ভাবনা যে ভুল নয় তা স্পষ্ট হচ্ছে।কর্নাটক পুলিশের এই শীর্ষকর্তা আরও জানিয়েছেন, অভিযুক্ত শরিক এই বিস্ফোরণে নিজেও গুরুতর আহত হওয়ায় বর্তমানে কথা বলার অবস্থায় নেই ৷ শরিকের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে (Mangaluru Blast Case) ৷ এই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অন্যান্য মামলাতেও একাধিক কেস রয়েছে ৷ পুলিশের দাবি, মেঙ্গালুরুর পাশাপাশি, মাইসোর ও শিবমোগাতেও বিস্ফোরণের পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত ছিল শরিক৷ গত 2 মাস ধরে গা ঢাকা দিয়ে ছিল সে ৷গত 15 অগস্ট শিবমোগাতে অশান্তির পর শরিক সেখান থেকে পালিয়ে প্রথমে কোয়েম্বাতুর ও পরে কেরলে যায় ৷ প্রেমরাজ নামে একটি ভুয়ো আধারকার্ডও বানিয়েছিল সে ৷ পুলিশের দাবি, 2020 সালের 27 নভেম্বর কাদরি পুলিশ স্টেশনের দেওয়ালে একটি গ্রাফিতি আঁকা হয় ৷ তার পরের দিনই মেঙ্গালুরুর উত্তরা পুলিশ স্টেশনে জঙ্গিদের সমর্থনে কিছু লেখার দেখা মেলে ৷ এই দুই ঘটনায় শরিক ও তার 2 সঙ্গীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ৷ কিন্তু তারা জামিন পেয়ে যায় ৷অলোক কুমার জানিয়েছেন, শরিকের মাইসোরের ভাড়া ঘর থেকে বিস্ফোরক বানানোর সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে (Mangaluru Blast Case accused Shariq) ৷ এই বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও অনেকে যুক্ত রয়েছে ৷ উল্লেখ্য, এই বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে সোমবার সকালে মেঙ্গালুরু, মাইসোর, শিবমোগায় তল্লাশি চালায় পুলিশ ৷ 4 জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.