“এখন মুখ্যমন্ত্রীর কী হবে? রাজীব কুমার তো মমতার প্রাণ-ভোমরা। এখন রাজীব কুমারেরই বা কী হবে?”
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের ওপর থেকে রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর নিজের প্রতিক্রিয়া এমনই তির্যক মন্তব্য করলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “সিবিআইয়ের রাজীব কুমারকে গ্রেপ্তার করার অধিকার আছে। সিবিআই ও রাজীব কুমারের মধ্যে যে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। তাতে তাঁকে গ্রেপ্তার হওয়ার অসম্ভব কিছু নয়। সিবিআইয়ের কাছে এটা মর্যাদার লড়াই।” তাঁর আরও প্রশ্ন,”রাজীব কুমারকে বাঁচানোর জন্য তার বাড়ি চলে গিয়ে ছিলেন? পরে ধরনায় বসেছিলেন, কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী এখন কী করবেন?”
সরকারি কর্মচারিদের বেতন বৃদ্ধি ইস্যুতে দিলীপ ঘোষ বলেন, ” মুখ্যমন্ত্রী এই ঘোষণায় শুধু স্বান্তনার বাক্য আছে। এটা ঘোষণা করার পর সরকারি কর্মচারীরা পকেটে হাত দিয়ে দেখবেন ওনারা কী পেয়েছেন? মুখ্যমন্ত্রী নামেই ঘোষণা করেছেন। কবে সেটা চালু হয় সেটাই দেখার বিষয়।” তিনি আরও বলেন, “এ বিষয়ে সরকার বা মুখ্যমন্ত্রীর উপর কোনও ভরসা নেই। আমরা অপেক্ষা করব। নির্বাচন আসছে না। তার একটা ঠেলা আছে।”
শুক্রবার বাম ছাত্র-যুবদের নবান্ন অভিযান নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ” পশ্চিমবঙ্গের কোনও আন্দোলনই এখন নিরামিষ থাকছে না। সবাই আমিষ হয়ে যাচ্ছে। আজ আন্দোলনকে পুলিশ দিয়ে যেভাবে স্তব্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা হল। তাতে গনতন্ত্রের কোনও স্থান নেই। তৃণমূলের ব্যবহারটা ও সরকারে ব্যবহার টা খুবই নৃসংশ হয়ে যাচ্ছে।”