এনআরসি এবং সিএএ নিয়ে দেশ জুড়ে বিতর্ক চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। বিজেপি বিরোধী একাধিক রাজ্য কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে। বিশেষত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন তিনি এই আইন কিছুতেই লাগু হতে দেবেন না। কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মধ্যে এনআরসি এবং সিএএ নিয়ে দড়ি টানাটানির মধ্যেই বড় মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর কথায় সিএএ দেশের আইন। এটাই বাস্তব।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বৃহস্পতিবার বলেছেন, যে সিএএ ইতিমধ্যে সরকারের কাছ থেকে অনুমোদনের স্ট্যাম্প পেয়েছে। তারপরই তিনি বলেছেন সিএএ লাগু হবে না এই স্বপ্ন দেখা বন্ধ করা উচিত। এই আইনটি ফিরিয়ে নেওয়া হবে বা প্রয়োগ করা হবে না এই রকম কোনো কিছুই হবে না ।
এর আগে অমিত শাহ বলেছিলেন, করোনার কারণে এই আইন লাগু করা হচ্ছে না। দেশে করোনা পরিস্থিতি ঠিক হলে এই আইন বাস্তবায়নের পথে হাঁটবে সরকার। খুব দ্রুত আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এদিন একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ বলেন, সিএএ বা এনআরসিকে মোটেই কোল্ড ফ্রিজারে রাখা হয়নি। এটি এখন দেশের আইনে পরিণত হয়েছে। এখন আর এর কে পরিবর্তন হবে না। আমাদের এই আইনের নিয়ম তৈরি কর হবে। করোনার কারণে এগুলি বিলম্বিত হয়েছে তবে শীঘ্র কাজ শুরু হবে। তাই স্বপ্নেও ভাববেন না সিএএ কার্যকর না। যারা এরকম ভাববেন তারা ভুল করবেন। কারণ সি এখন দেশের আইন, আর এটাই বাস্তবতা।
তবে শুধু এনআরসি এবং সিএএ নিয়ে নয়, ৩৭০ ধারা বাতিল নিয়ে কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর দাবি ৩৭০ ধারা বাতিল করার পদক্ষেপের কারণে জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গিবাদ পরিস্থিতিতে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। তিনি বলেন, আগে বলা হতো ৩৭০ ধারার কারণেই জম্মু-কাশ্মীর ভারতের সঙ্গে আছে। এখন ৩৭০ ধারা বা ৩৫ এ কোনোটাই নেই, কিন্তু জম্মু- কাশ্মীর এখনো ভারতের সাথেই আছে।