কর্ণাটকের হিজাব বিতর্কের আঁচ এসে লাগল বাংলায়। ছাত্রীদের হিজাব পড়ে স্কুলে আসায় পাল্টা নামাবলী জড়িয়ে স্কুলে গেলেন দ্বাদশ শ্রেণীর কয়েকজন ছাত্র। পড়ুয়াদের দাবি, হিজাব পরে স্কুলে আসার অনুমতি দিলে নামাবলী জড়িয়েও স্কুলে ঢোকার অনুমতি দিতে হবে। হাওড়ার ধুলাগড়ি আদর্শ বিদ্যালয়ের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণীর কয়েকজন মুসলিম ছাত্রী হিজাব পরে স্কুলে আসেন। আপত্তি জানিয়েও কাজ হয়নি। এরপরই পাঁচ জন দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র স্কুলে নামাবলী জড়িয়ে আসে। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানায় ওই স্কুলের দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির মুসলিম ছাত্রীরা। এদিকে ছাত্রদের স্কুল কর্তৃপক্ষ নামাবলী খুলে স্কুলে ঢুকতে বলে। এরপরই অশান্তি ছড়ায়।
দু’পক্ষের তর্কাতর্কি বাঁধে। তা গড়ায় হাতাহাতিতে। স্কুলে ভাঙচুর চলে বলেও অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্কুলে যায় সাঁকরাইল থানার পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ স্কুলের ভিতর ঢোকেনি। তবে পরিস্থিতি জটিল হলে বাধ্য হয়ে কয়েকজন আধিকারিক স্কুলে ঢুকে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে হাওড়া সিটি পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘প্রি-বোর্ড পরীক্ষা চলছে স্কুলে। এই আবহে সোমবার কিছু ছাত্রী হিজাব পরে স্কুলে গিয়েছিল। তাদের দেখে ছাত্রদের আরেকটি দল নামাবলী পরার অনুমতি দেওয়ার দাবি জানায়। স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের স্কুলের ড্রেস কোড অনুসরণ করতে বলে উত্তেজনা প্রশমিত করে।’