দ্য ওয়াল ব্যুরো: চিটফান্ড মামলায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারি কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালত সে দিন জানিয়েছিল, রাজীব কুমারকে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। কিন্তু তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না।
যা শুনে ধর্মতলায় ধর্ণা মঞ্চে বসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, আমাদের ‘নৈতিক জয়’ হয়েছে।
রাজীব কুমারের রক্ষাকবচ আগেই প্রত্যাহার করে নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টও জানিয়ে দিয়েছে, রাজীবকে আর রক্ষাকবচ দেওয়া যাবে
না। তিনি স্পেশাল ট্রিটমেন্টও দাবি করতে পারেন না। এমনকী হাইকোর্ট এও
জানিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে তাঁকে গ্রেফতার করতেও বাধা নেই।
সে যাক। এখন প্রশ্ন হল, এর পরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নৈতিক জয় থাকল? যে আদালত রক্ষাকবচ দিয়েছিল রাজীবকে, তারাই তো রক্ষাকবচ তুলে নিল?
এ ব্যাপারে বিরোধীরা এ দিন মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিয়ে বলেছেন, সে দিন মমতার নৈতিক জয় হয়েছিল, আজ পরাজয় হল। আদালতের রায়ের পরিষ্কার হয়ে গেল রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই অফিসাররা গেলে তাঁদের যে ভাবে হেনস্থা করা হয়েছিল তা অন্যায়। ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে যে রাজীব কুমারের রক্ষাকবচ হয়ে উঠেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে সে রাতে চলে গিয়েছিলেন মমতা। তা ছাড়া ধর্ণাতেও বসেছিলেন।
তাৎপর্যপূর্ণ হল, এই মামলায় রাজনৈতিক জয় যদি কারও হয়ে থাকে তা হল প্রথমেই বাম ও কংগ্রেসের। কারণ, চিটফান্ড কেলেঙ্কারি নিয়ে রাজীব কুমারের নেতৃত্বে এসআইটি-র তদন্ত নিয়ে প্রথমে প্রশ্ন তুলেছিলেন কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান ও সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁদের দায়ের করা মামলার রায়েই সুপ্রিম কোর্ট চিটফান্ড তদন্তের দায়িত্ব সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছিল।
কিন্তু এখন এ ব্যাপারে সব থেকে সক্রিয় বিজেপি। চিটফান্ড কেলেঙ্কারি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ যে ভাবে লাগাতার তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাচ্ছেন, তাতে এ ধরনের ঘটনার রাজনৈতিক বাম-কংগ্রেস আদৌ পাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রইল। ঘটনাচক্রে আগের দিনই রাঁচিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে মন্তব্য করেছেন, ‘পিকচার অভি বাকি হ্যায়!”